আজ পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের নাকি মৃত্যুদিন

জসীমউদ্দীন
তমাল সাহা

একেকজন সাদামাটা মানুষকে দেখলে জীবনে সহজ সারল্যবোধ জেগে ওঠে।
তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে জন্মভূমির মাটির ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
তার শরীরের উপত্যকা জুড়ে সবজির চাষ, ফসলের আবাদ
দূরে জ্বলে চিরাগ, কিছু স্মৃতিময় কবর,
গেরস্থালি যাপিত জীবন, ভালোবাসা ও বিষাদের ছবি।
আকন্দ-ভাটফুলের জঙ্গলে উড়ে এসে বসে এক হরিয়াল পাখি। বলে, তুমি কোথায় দেখছো মানুষ, এতো আসলে কবি!
পাখি আরও বলে, জানো তো এসব কবি এখন সেকেলে হয়ে গেছে
এদের খুঁজে পাবে নাকো আর এই দেশে
বরাত ভালো তোমার
যদি দেখা হয় তার সাথে পরবাসে!

ঐ দেখো তো কে যায় হেঁটে
নকশিকাঁথার মাঠে
সোজন বাদিয়ার ঘাটে?
দাদির কবরের পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়ায়
ডালিম তলায়?

পল্লির কবি প্রকৃতির গন্ধ মাখা তার গায়
কে জসীমউদ্দীন তো!
বাতাস কাঁপিয়ে ভাটিয়ালি-জারি গান
গাইতে গাইতে চলে যায়…

পল্লির যাপিত জীবন ভালবাসা দুঃখ বিষাদ মাঠ ঘাট নদী
আজও তাকে খূঁজে বেড়ায়।