অবতক খবর,৫ মার্চ,ময়নাগুড়ি, ৫ মার্চ : উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মেলা আচমকা বন্ধ হয়ে গেল বুধবার। দুপুর থেকেই সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার অভিযোগ তুলে এদিন দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পরবর্তীতে কয়েক ঘন্টা পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত মেলার দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা।
একাংশ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এই মেলা প্রতি বছর টেন্ডার দেওয়া হয়। টেন্ডারের বরাত প্রাপ্ত ইজারাদার মেলার খাজনা তোলেন। এবছর সেই খাজনার জুলুম অনেকটাই বেশি বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। এমনকি লাইটের জন্য প্রতিদিন টাকা তোলেন মেলা কমিটি। পরবর্তীতে দিতে হয় মেলার খাজনা। এদিকে, গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হলেও তেমন ভাবে বিক্রি নেই বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিয়ত মেলায় ভিড় হলেও ব্যবসা খুবই খারাপ বলেই অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
সেই কারণে বুধবার মেলায় দুপুর নাগাদ আচমকা দোকান বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। মেলার এক ব্যবসায়ী চন্দ্র রায় বলেন, ” গতবছর জোর জুলুম করে আমি ২৫০০ খাজনা দিয়েছি। এবছর তার থেকেও বেশি টাকা দাবি করা হচ্ছে। মেলায় এবার সেভাবে বিক্রি নাই। ফলে এই টাকা দেওয়া আমাদের চাপের। তাই আমরা দোকান বন্ধ রেখেছি।”
এদিকে এই খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করতে মেলায় আসেন ডি এস পি ক্রাইম শান্তি নাথ পাঁজা, বিডিও প্রসেনজিৎ কুন্ডু, থানার আইসি সুবল ঘোষ সহ প্রমুখরা। আলোচনায় বসলেও আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি।
তবে প্রাথমিক ভাবে বুধবার মেলায় কোনরূপ খাজনা নেওয়া হবে না। পরবর্তীতে এই নিয়ে আলোচনা করে খাজনা তুলবেন মেলা কমিটি। এই সিদ্ধান্ত প্রাথমিক ভাবে গৃহীত হওয়ার পরেই মেলায় দোকান খোলেন ব্যবসায়ীরা। যদিও মেলার বরাত প্রাপ্ত ইজারাদার সত্যেন্দ্রনাথ শর্মা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী খাজনা তোলা হচ্ছে। আমরা সরকারি নির্দেশের অনেক কম টাকা নিচ্ছি। আসলে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেলাটাকে নষ্ট করার জন্য বাকি ব্যবসায়ীদের উস্কানি দিচ্ছেন। আপাতত মেলা চালু থাকবে।”