অবতক খবর,১৩ ডিসেম্বর:মালদা:- মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি। আর তারপরই মালদহে অতি সক্রিয় পি এইচ ই। জলচুরির অভিযোগে প্রায় ৫০ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের ইংরেজ বাজার থানায়। প্রয়োজনীয় নথি জমা করার পরই পাইপ লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে, তাহলে কেন মামলা ? পাল্টা দাবি গ্রামবাসীদের। বিক্ষোভ প্রদর্শন মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবস্থিত পি এইচ ই দপ্তরে।

মালদহের ইংলিশ বাজার থানার বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটারি, নয়াপাড়া সহ একাধিক এলাকার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেলেও এখন মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের জল জীবন জল মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে জলের পাইপ লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য তারা স্থানীয় পাম্প অপারেটরের কাছে প্রয়োজনীয় আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের নথি জমা দিয়েছিল। অথচ পিএইচই দপ্তর থেকে জল চুরির মামলা করা হয়েছে তাদের নামে।

এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ওরঙ্গজেব হোসেন জানান, জলের অপর নাম জীবন। অথচ এই জল পেতে গিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীরা এই নিয়ে প্রচুর আতঙ্কে আছে।

এই বিষয়ে মালদা পি এইচ ই র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পারমিত কুমার মিত্র জানান, জল চুরির একটা অভিযোগ আমরা ইংলিশ বাজার থানায় করেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে তারা বৈধ না অবৈধভাবে জলের সংযোগ নিয়েছিল তারপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর করা হুঁশিয়ারির পর একদিকে অতি সক্রিয়তার ছবি যখন সামনে, ঠিক তখনই অতি নিষ্ক্রিয়তারও ছবি উঠে এল
মালদহে। মালদহের মালদা মানিকচক রাজ্য সড়কের ধারে পাইপ কেটে প্রকাশ্যে চলছে জল চুরি। তার পাশাপাশি ইংলিশ বাজারের সাতটারি এলাকা,যে এলাকাতে জল চুরির অভিযোগ করা হয়েছে গ্ৰামবাসিদের বিরুদ্ধে,সেই গ্ৰামেই অপচয় করা হচ্ছে পানীয় জল। ট্যাপকলের মুখ খোলা আবার কোথাও ট্যাপ কল নেই আবার কোথাও পানীয় জল দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে তো আবার ইংলিশ বাজারের এই সাতটারি এলাকাতেই একাধিক গ্রামে এখনো পৌঁছায়নি পানীয় জল। পানীয় জল ছাড়াই চলছে আস্ত একটি আই সি ডি এস সেন্টার। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পর এক্ষেত্রে অতি সক্রিয় নয় কেন পি এইচ দপ্তর ? তাদের নজরে কেন এলো না এই সব বিষয় ?
এর মাধ্যমে তারা কি বোঝাতে চাইছে ? তাহলে কি পিএইচির আধিকারিকরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে ?