জয় বাংলা
গুড্ডু স্যাঙ্গাত নিয়ে বিরোধী দলের এজেন্টের ঘর ভেঙে দিল
তমাল সাহা

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন রাতে গাঙ্গুলি বাগানের গুড্ডু দলবল নিয়ে বিরোধী দলের এজেন্টের ঘর ভেঙে দিয়ে গেল।
বলে, তেরে মাইকে….। বহিন….! তোকে আগেই বলেছিলাম, একদম বুথে যাবি না। এজেন্ট তো হবিই না।

গাঙ্গুলি বাগানের গুড্ডু ভেঙ্গে দিলো কেন, তার পেছনে যুক্তি আছে। বিজ্ঞান কী বলে? কার্য থাকলেই কারণ আছে।

আরে গুড্ডুর জন্য প্রতিদিন তিন বেলার বাঘ মার্কা বাংলা মালের তিনটি বোতল আর চাটের জন্য ৫০০ টাকা– পার্মানেন্ট ব্যবস্থা হয়ে গেল। গুড্ডুর
সঙ্গে তিনটি স্যাঙ্গাত আছে।

ভাঙচুরের আনন্দই আলাদা!
ভাঙচুরের দিন ভরপেট মালের দাওয়াৎ পেয়েছিল গুড্ডু। সেদিন এক্সট্রা কিছু জোগাড়পাতিও হয়েছিল।

গুড্ডুর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। গুড্ডুর বলেছিল, দাদা, এটাই তো পেটের দানাপানির উপায়। এমএলএ এমপিরা তো বড়। ওদের পেটমোটা ভাতা ও মালের কথা বলছেন ওরা তো পাবেই। পেনশনও পাবে। নো টেনশন! ওদের এক্সট্রা উপার্জনও আছে। এসবই আমরা বুঝি।
আমাদের জন্য হাহুতাশ করে কোনো লাভ নেই। আমরা জানি, এটাই আমাদের ভবিতব্য।
এটাই আমাদের পার্মানেন্ট জব। আমরাই সবচেয়ে নিরপেক্ষ!

আমি বলি, নিরপেক্ষ মানে?
বলে, আমরা বাস্তববাদী। যে যখন ক্ষমতায় আমরা তার দিকে। আপনাকে আস্তে আস্তে বলি, আজ বিজেপির ভাঙছি, কাল বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের ভাঙবো। সিপিএম ক্ষমতায় এলে অন্য এক দলের ভাঙবো। আমাদের চাকরি পাকা। আমাদের ভাঙ্গন প্রক্রিয়া চলমান…

নির্বাচনের গুড্ডুর পার্টি জিতে গেছে। রেজাল্ট বেরিয়েছে।
গুড্ডু বলে, আজ একটু বেশি আনন্দ।
আমি বলি, কেন?
দেখছেন না আবির মেখেছি। আজ বাংলা মাল নয়, ম্যাকডোয়েল হুইস্কি বরাদ্দ হয়েছে। ফরেন লিকার। এটা দামে কম তেজ বেশি।
ও বলে, দাদা! এটা তো মদ কিন্তু মাল বলে কেন?
আমরা অনেক মেয়েকে দেখলে বলি, মালটা বেশ!
আপনা থেকেই শব্দটা বেরিয়ে আসে।
কেন বলি, বলুন তো!

আমি বুঝি, গুড্ডুর নেশা জব্বর জমেছে। গুড্ডুর রাজনীতির জ্ঞান আছে।
দাদা! আপনাকে অনেক আগে থেকেই চিনি। আমরা আপনাকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। গুড্ডু পায়ে হাত দিতে চায়।
আরে দাদা! ওসব সিজন-টিজন, সায়ন-টায়ন দীপ্সিতা-টিপ্সিতা দিয়ে কোনো কাজ হবে না। ইয়ং ব্রিগেড মারাচ্ছে!
এখন মস্তান ছাড়া মার্কসবাদ চলবে না।
গুড্ডুর নেশা বেশ কড়া হয়েছে।
মার্কসবাদ মারাবেন আর মস্তান পুষবেন না, সেই দিন চলে গেছে! এখন রবিনহুড প্রক্রিয়া।

আমি বলি, এর মানে?
গুড্ডু বলে, যত ইচ্ছা মাল কামাও, তুমি তো নেতা। আর গুড্ডুদের দিকে কিছু ছুড়ে দাও, ওরা ভোটের দিন বুথ সামলে দেবে….
জয় বাংলা!