শহর জুড়ে গণেশ উৎসব। পৃথিবী না স্বর্গে কোথায় যেন প্রথম প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছিল গণেশের মাথায়!
বিজ্ঞান ধর্মের কাছে মাথা খুঁড়ে যায়।
ধর্মীয় গোঁড়ামি এভাবে গিলে ফেলে বিজ্ঞান।
এটা নাকি ডিজিটাল যুগ
আমরা গর্বিত,
কোথায় যেন পাঠাচ্ছি চন্দ্রযান?
দেখো, মেরা ভারত কিতনা মহান!
আমরা আত্মহারা!
প্রচুর আনন্দে মেতে আছে কাঁচরাপাড়া।
আসুন গণেশকে দেখি।

জয় গণেশ
তমাল সাহা

গণ-শব্দটি বহুশ্রুত হলেও
হঠাৎ এই শব্দটির প্রতি
আমার বিশেষ আকর্ষণ জন্মে যায়।
গণ-র অপূর্ব ব্যবহার দেখি রবীন্দ্র কবিতায়।
রবীন্দ্রনাথ জনগণমনঅধিনায়ক—
সমাসবদ্ধ পদটিতে
এত গুরুত্ব দিয়েছিলেন কেন,
আমি ভাবতে থাকি।
জনগণমনঅধিনায়ক না লিখে
সেখানে অতি সহজে
গণেশ শব্দটি বসানো যেতো না কি?

গণ-দের সামনে বক্তৃতা দিয়ে
তালেবর বুদ্ধিজীবিরা গণ-হাততালি পায়,
তারা বারংবার গণজাগরণ ও গণতন্ত্র
উচ্চারণ করে কথায় কথায়।

গণেশ কথার অর্থ কি?
তবে গণদেবতা উপন্যাসটি আমি পড়েছি,
গণশক্তি শব্দটিও বেশ জোরদার।
অনেকে বলেন, এটি রাজনৈতিক শব্দ।
শব্দটির সামাজিকতায় আচ্ছন্ন আমি,
করতে পারিনি পরিহার।

আবার অনেকে মনে করেন
গণ-এর মতো নির্বোধ শব্দ আর নেই।
অথচ গণ-কে কেন্দ্র করেই
আমাদের জীবনের চলাচল।
‘ওরা কাজ করে’, করেই চলে
ওরাই তো সভ্যতার রথচক্রের ফসল।

দুনিয়ার রাষ্ট্রশক্তিকে
যুগে যুগে উল্টে দেয় গণ-রা।
তারাই সক্রিয় থাকে সম্মুখ রণে।
পন্ডিতগণ চক্ষুস্থির,
তাকিয়ে থাকে সেই মহান দৃশ্যের পানে—
বাতাস ভারী হয় গণ- জয়গানে।

দূর থেকে দূরে ভেসে যায় সুরের রেশ—
জয়! গণেশ।

বুঝে যাই,
গণেশ কথার অর্থ, গণ-ই শ্রেষ্ঠ
সন্ধি বিচ্ছেদে দাঁড়ায় গণ+ঈশ।

জয়! জয়! গণেশ
গণসঙ্গীত বেজে চলে অহর্নিশ…