অবতক খবর,মালদা,৩ নভেম্বর,সানু ইসলাম: জমির ফসল অবশিষ্টাংশ নাড়া জমিতে পুড়ানো প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করা হল।শুক্রবার দুপুরে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে এই দিনটি পালন করা হয়। কৃষকদের নিয়ে যেমন মিছিল করা হয়,তেমন একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর কৃষি দপ্তরে ব্লক অফিসের তরফে। ব্লক কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, কৃষকদের স্বার্থে দিনটি পালন করা হল।
হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কৃষকেরা জানিয়েছেন, আমরাও সকল কৃষকদের কাছে আবেদন করব তারা যেন আর কৃষি জমিতে নাড়া না পুড়ায়। এমন অনুষ্ঠানে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের সকল কৃষকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।মালদা জেলা মূলত কৃষিভিত্তিক এলাকা।কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে বেশিরভাগ মানুষজন তাদের জীবিকা নির্ভর করে থাকেন। হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লক কৃষি দপ্তর সারা বছর ধরেই ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার কৃষকদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন ব্লক কৃষি দপ্তরে আধিকারিক পলাশ সিদ্ধার মাধ্যমে।
হরিশ্চন্দ্রপুর এক ‘নম্বর ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিন নভেম্বর জমির ফসল অবশিষ্টাংশ নাড়া জমিতে পুড়ানো প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করা হল। হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে প্রায় বহু কৃষকদের নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বিভিন্ন জায়গাতে প্রচার করে সে বিষয়ে কৃষক ও বাসিন্দাদের সচেতন করানো হয়,মিছিলে পা মেলান হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর কৃষি দপ্তরের অধিকারীক পলাশ সিদ্ধা সহ আরো অনেকেই।
মিছিল শেষে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লক কৃষি দপ্তরে প্রায় একশো জন কৃষকদের নিয়ে সচেতন করানো হলো জমিতে নাড়া পোড়ানো হলে কি কি অসুবিধা হতে পারে।
এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কৃষি অধিকর্তা পলাশ সিদ্ধা জানিয়েছেন,এলাকায় যথেষ্ট হাড়ে এই সময়ে নারা অর্থাৎ ধানের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো হয়। এটা পুরানো হলে জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। এটা যাতে বন্ধ করা যায় সেজন্য আমরা আজকে এই নারা পোড়ানো দিবস পালন করলাম যাতে এলাকার কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে।