অবনত শ্রদ্ধা ছাড়া আমার আর কিছু নেই যে মা!

জননী গো, তোমাদের প্রণাম
তমাল সাহা

কৃষ্ণপক্ষের রাতে ঘূর্ণিঝড় ওঠে বাতাসে
সুন্দরবনের নোনা জলে ওঠে সংক্ষুব্ধ ঢেউ
গর্জনশীলা মায়েরা প্রহর জাগে
অধিকার কেড়ে নিতে পারে কি কেউ?

অস্ত্রবতী মায়েরা হাতে তুলে নেয় হাতা খুন্তি ঝাঁটা লাঠি ও কাস্তে
রাষ্ট্রীয় মস্তান ডালকুত্তারা নেচে ওঠে ভৈরব উল্লাসে
মায়েরা হয়ে ওঠে রণচণ্ডী
সব বিক্রম পরাস্ত হয় ভয়ংকরী ত্রাসে

জননীরা তো সৃজনের আধার
শস্যের গান গায় ক্ষেত জুড়ে বিস্তীর্ণ আবাদ
তারা শাশ্বত প্রেম জানে,জানে সোচ্চার প্রতিবাদ
জেদে ও তেজে লড়াই চালিয়ে যায়
তেভাগার উত্তরসূরী মায়েরা আমার জয়পতাকা হাতে পরাক্রমে হাঁটে বঙ্গোপসাগরীয় উপত্যকায়

শীত শেষ হয়ে গেছে
বসন্তের বাতাস ছুটে আসে
লালের তীব্র জোয়ার বৃক্ষসমূহের মাথায়
আরক্তিম মুখে উজ্জ্বল হাসি ফোটে কৃষ্ণচূড়া পলাশে
দুর্গেশনন্দিনীরা বাসন্তিকা হয়ে ওঠে
পাল্টে ফেলে তাদের নাম
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোমাদের প্রণাম!