অবতক খবর,২২ মার্চ,মালদা:- লকডাউনে নিখোঁজ ভাই,বিভিন্ন জায়গায় খোঁজার পর কোনো খোঁজ না পেয়ে ভেবেছিলেন করোনায় মৃত্যু হয়েছে।ছেলের আসায় মৃত্যু হয়েছে বাবা মায়ের।কিন্তু ছয় বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইয়ের ভিডিও দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল বোন সহ পরিবারের সদস্যরা।প্রশাসনের কাছে ভাইকে উদ্ধারের দাবী।
মানিকচকের নুরপুর পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার বাসিন্দা সুলতান খান,পেশায় দিনমজুর বাবা মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

পরিবারের স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে দুই নাবালক ছেলে।এছাড়াও তিনভাই ও দুই বোন রয়েছে তারা। বিগত ২০১৯ সালে শেষে পরিবারের আর্থিক সমস্যা দূর করতে ভিন রাজ্য দিল্লিতে ঠিকা শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যায় তিনি।তবে ২০২০ তে করোনা সংক্রমণ ছড়াতেই লকডাউন হয় যারফলে বাড়ি ফিরে আসতে শুরু করে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা।তবে বাড়ি ফিরেননি সুলতান।

লকডাউন হয়ে যাওয়াই বাড়ি থেকেই ফোনে বিভিন্ন জায়গায় ভাইয়ের খোঁজ করেন। এমনকি লকডাউনের পর দিল্লিতে গিয়েও খোঁজ করেন সুলতানের তবে কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন করোণা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তার।এর মধ্যেই কেটে গেছে প্রায় ছয় বছর, তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভিডিওই সুলতানের ছবি দেখতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন তার দিদি মৌসম বিবি।দেখেন ট্রেনের কামরার এক কোনায় নোংরা অবস্থায় বসে রয়েছে,বড়বড় চুল ও দাড়ি রয়েছে তার।

তাকে খাবার দিচ্ছেন এক যাত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মাধম্যে।যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি যা দেখে একেবারেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দিদি।খবর দেওয়া হয় সুলতানের স্ত্রী রেহানা বিবিকে স্বামী নিখোঁজের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন।

শুক্রবার সুলতানের স্ত্রীকে নিয়ে মানিকচক থানার দারস্ত হন দিদি, পুলিশ আধিকারিকদের সমস্ত বিষয়টি জানান,তবে লিখিত কোনো অভিযোগ নেয়নি মানিকচক থানা।এবিষয়ে দিদি মৌসম বিবি বলেন,ভাইয়ের করোনায় মৃত্যু হয়েছে ভেবেছিলাম,কিন্তু ভিডিওটিতে ভাইকে দেখে আমরা খুশি সে বেঁচে আছে।তবে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে বলে অনুমান। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি তাকে খুঁজে বের করা হোক এবং বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।