আমিতো ফেরিওয়ালা,কাগজ বিক্রি করি,
তাই মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনীভূত হয়। একজন বলে, দাদা পুজোর কথা লিখলেন তো অনেক,আমাদের ছট পুজো! কিছু লেখা যায় নিশ্চয়।
এবার তাহলে ছটপুজো সম্পর্কে লিখি।

ছটপুজো
তমাল সাহা

সূর্য ঘোরে না পৃথিবী আবর্তন করে
তাতে আমাদের কি যায় আসে।
সূর্য আর পৃথিবী—
পরস্পর পরস্পরের মুখ দেখে
যে যার কাজ করে যায় অনায়াসে।

সূর্য তো পুরুষ,
সে তো পৃথিবীকে ভালোবাসবেই।
পৃথিবী তো প্রকৃতি,সে তো নারী,
সকালে উঠে নরম আলো ছড়িয়ে
সূর্য বলে, তুমি যে আমারই।

সূর্য উজাড় করে দেয় নিজেকে,
ছড়িয়ে দেয় ভালোবাসার আলো ও উত্তাপ।
পৃথিবী নামে নারীটি কাতর হয়ে পড়ে
রমণীয় হয়ে সূর্যকে আলিঙ্গনে চায়,
বাড়ায় দুটি হাত।

সূর্য না থাকলে পৃথিবী কি বাঁচে?
পৃথিবীর অপূর্ব জাগরণ সূর্য ছটার আঁচে।
সূর্যের কাছে পৃথিবী চিরকাল ঋণী।
পৃথিবী তার কাছে নাম ধার করে
প্রজন্মকে ডাকে ,অরুণ,অর্ক বা দিনমণি।

সূর্যের প্রার্থনায় শীতের রাতে
কেঁদে ওঠে ফুটপাতের শিশু,নবজাত।
সূর্য দ্রুত বলে, আসছি সোনা!
অন্ধকার একটু হালকা হোক
আর কেঁদোনা অবিরত।

সূর্যপূজা তো পূজা নয়, সূর্যকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।
দেখো চারিদিকে আলোর ছটা,
সূর্য আমাদের একান্ত নিজস্ব আপন।
উদয় থেকে অস্ত
পৃথিবীর একমাত্র দৃশ‍্যমান ঈশ্বর সূর্য,
সে প্রতিদিন শেখায় আমাদের
বাজাও রণতূর্য।

অবনত নতজানু তোমার কাছে
হে আমার জাগ্রত ঈশ্বর,
হে আমার প্রিয় সূর্যরশ্মি!
তুমি ছাড়া আমরা তো হা হতোস্মি।