অবতক খবর,৮ মার্চ:  ৬৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে দিল। ওই দম্পতি থানা ও প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে চোখের জল ফেলছেন। কিন্তু কোন সুরাহা হচ্ছে না। এমনই ঘটনা ঘটেছে চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নটিগছ গ্রামে । রামকৃষ্ণ দাস ও কুন্তি দাসের জমি ও চা বাগান দখল করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পুরনো রাস্তা বন্ধ করে দেয় পঞ্চায়েত কর্মী সুশান্ত দাস। এ বিষয়ে ওই দম্পতি চোপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

তাদের উপর মানসিক ও ও শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। রামকৃষ্ণ দাসের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত কর্মী সম্পর্কে তার ভ্রাতুষ্পুত্র। ওই বৃদ্ধ দম্পতির প্রায় পাঁচ একর চা বাগান রয়েছে। ওই চা বাগানে তিনি শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে পাতা তৈরি করেন। সেখান থেকে উপার্জিত অর্থে তাদের সংসার চলে। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েত কর্মী ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের প্রাণ সংশয়ের হুমকি দিয়ে বাগানের কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।

ফলে তার চা বাগান আগাছায়া ভরে গেছে এবং কীটনাশক ব্যবহার করার মত শ্রমিক নাথ মেলায় রোগপ্রকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির চোখের জল ছাড়া আর কোন অবলম্বন খুঁজে পাচ্ছেন না। কুন্তি দাস চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন, আমাদের জমি জায়গা দখল করে আমাদের এখান থেকে উৎখাত করার চক্রান্ত করছে সুশান্ত দাস। সেজন্যেই আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের বাগানে তাদের ভয়ে কেউ কাজ করতে চায় না।

রীতিমতো নৈরাজ্য চালাচ্ছে সুশান্ত দাস। সরকারি কর্মী হওয়ায় পুলিশ ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এ বিষয়ে তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি। আমরা মহকুমা শাসকের শরণাপন্ন হয়েছি। আমার একমাত্র ছেলে তাদের ভয়ে গ্রামে ঢুকতে পারে না। যদিও সুশান্ত দাস অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে তা দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।