অবতক খবর,৪ জুলাই,চোপড়া: চোপড়া কাণ্ডে সিবিআই এর দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বিরোধীরা যাতে মাথা তুলতে না পারে সেই লক্ষ্যে এলাকার বিধায়ক যত নিচে নামা প্রয়োজন নামছেন। চোপড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিন জনকে খুন করেছে শাসকদল।

চোপড়ায় আধিপত্য কায়েম করতে পুলিশ ও গুন্ডাবাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছেন বিধায়ক। আমরা এদিন অকস্মাৎ চোপড়া থানায় ঢুকে পড়ি। থানার আইসি আমাদের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। আমাদের কাছে খবর রয়েছে ওই ঘটনার পরে চোপড়া থানার আইসি ইসলামপুরের ডিএসপি , চোপড়ার বি ডিও হামিদুর রহমানের সাথে বৈঠক করেছেন। প্রশাসনার কত নিচে নামতে পারে।

চোপড়ার তাজমুলদের কাজে লাগিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালাচ্ছে হামিদুল। আমরা এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়ক গণ চোপড়া থানায় গিয়েছিলাম। মুখ্য সচিব কে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের অনুমতি দিতে চিঠি লিখেছি। রাজ্য সরকার সিবিআই অনুমতি না দিলে আইনি পথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চোপড়ায় চা বাগান গুলো কম দামে কিনে সেখানে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করছে। এছাড়া আদিবাসী জমিগুলি দখল করতে আদিবাসীদের উপর লাগাতার জুলুমবাজি চালাচ্ছে হামিদুলের বাহিনী। চোপড়ায় হামিদুল প্যারালাল শাসন ব্যবস্থা চালায়। ইসলামিক আইন মোতাবেক চোপড়ায় সেদিন বিচার হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিধায়ক। কিন্তু বিধায় ভুলে গেছেন চোপড়া ভারতবর্ষের অংশবিশেষ ভারতবর্ষের সংবিধান মেনে এখানেও চলতে হয়।

এদিনের প্রতিনিধি দলের ছিলেন বেশ কয়েকজন বিধায়কসহ শিলিগুড়ির বিধায়ক ডক্টর শঙ্কর চক্রবর্তী। শংকর বাবু বলেন, ২০১১ সালের পরে চোপড়ার গণতন্ত্র সলিল সমাধি ঘটেছে।