অবতক খবর,৯ সেপ্টেম্বর,চিত্তরঞ্জন:-দেশে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে, দিনের পর দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে।আর কেন্দ্র সরকার বলছে ডবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে।আসলে এই সরকার পুঁজিপতিদের সরকার, গরীব মানুষের নয়।এই বক্তব্য দিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।তিনি বলেন আরো বলেন স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বৃহত্তম রেল কারখানা হলো চিত্তরঞ্জন।এই কারখানা প্রচুর রেল ইঞ্জিন তৈরি করেছে।আজ একেই বঞ্চিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার।তিনি নিজের মেজাজে বলেন খামোশ।না হলে নির্বাচনে জন সাধারণ খামোশ করবে এই কেন্দ্র সরকারকে।শুক্রবার চিত্তরঞ্জন রেল শহরে চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের এনএফআইআর, আইএনটিইউসি,আইটিএফ শ্রমিক সংগঠনের দ্বারা আয়োজিত সেফটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।তাছাড়া বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন বারাবনি বিধায়ক তথা মেয়র বিধান উপাধ্যায় তিনি জানান কেন্দ্রীয় সরকার মানে মোদি সরকার দেশকে বিক্রি করার ঠিকা নিয়েছে।আর একের পর বিক্রি করছে।এর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে আর চলবে যত দিন না এই কেন্দ্রীয় সরকারকে ছুড়ে ফেলে যায় আমরা এক হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবো।চিত্তরঞ্জনকে বঞ্চিত করা যাবে না।তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে নামতে হবে।আর যোগ্য জবাব দিতে হবে।আয়োজক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন সাংসদ আসার নাম শুনে রবীন্দ্র মঞ্চের অনুমতি বাতিল করা হলো এমনকি তার প্রচার পোস্টের ছিড়া হলো।কিছু লাভ হলো না তাদের সাজানো ষড়যন্ত্রের।২০০৪ সালের পরে যারা চাকরিতে যোগদান করেছেন তাদের পেনশন দেবে না বলে নিউ পেনশন স্কিম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে বৃদ্ধ বয়সে কর্মীদের বাঁচার অবলম্বন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিরও পেনশন নেওয়ার অধিকার নেই। চিত্তরঞ্জনে এখন ৩ হাজার ৬০০ পদ খালি আছে, আগামী বছরে আরো ২ হাজার পদ খালি হয়ে যাবে। শূন্যপদ পূর্ণ না হলে,কারখানার আধুনিকীকরণ না হলে দুর্ঘটনা যেমন বাড়বে তেমনই কারখানার অস্তিত্বও সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন দেশের সম্পদ বিক্রি করে তিনি এখন সেলসম্যানের কাজ করছেন, আর আদানি আম্বানিদের দালালি করে মিডিলম্যানের কাজ করছেন। ২০২৪-এ এই সরকারকে হটানোর শপথ নিতে হবে। তাছাড়া এদিনের বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র ওসিমুল হক, আইএনটিইউসি রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার,পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি সুভাষ সাহা, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, ভোলা সিং,তাপস ব্যানার্জী সহ আরো অনেকে।