অবতক খবর,২২ মে: ওয়ার্ডে ভিজিট চলাকালীন হাসপাতাল এমার্জেন্সিতে জরুরি পরিষেবা প্রদান করতে সিস্টারের কথায় ছুটে আসতে হয় চিকিৎসককে। ঘটনায় চিকিৎসককে মারধর এবং মেরে ফেলার হুমকি বিজেপি কর্মীর। যদিও ঘটনায় প্রশাসনের দ্বারস্থ আক্রান্ত ডাক্তার।
জানা যায় গতকাল ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পুরুষ বিভাগে রোগী দেখছিলেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার ডক্টর সুজন দাস।সেই সময় একটি রোগী এমার্জেন্সিতে চলে আসে, যার অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। তৎক্ষণাৎ এমার্জেন্সিতে থাকা নার্স ফোন করে সুজন বাবুকে, এবং সেখানে তড়িঘড়ি চলে আসতে বলে।
ফোন পাওয়া মাত্রই মেইল ওয়ার্ড থেকে দৌড়ে এমার্জেন্সিতে ছুটে যান ডঃ সুজন দাস।পরবর্তীতে তাকে পেছন থেকে বিজেপির শক্তি প্রমুখ যার নাম দীপক সরদার বাড়ি রাম লক্ষীতলা, ফুলিয়া বয়রা এলাকায়। তিনি ডাক্তার সুজন দাস কে পেছন থেকে অনেকবার ডাকে তবে রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেদিকে সাড়া না দিয়ে রোগীর কাছে ছুটে যান ডঃ সুজন দাস। তারপরেই ইমারজেন্সিতে এসে ডক্টর সুজন দাস কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং তার উপর চড়াও হন বিজেপির ওই সদস্য দীপক সরদার। এবং ডাক্তার সুজন দাসকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকিও দেন দীপক সরদার।যদিও এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে অন্যান্য কর্মচারীরা এসে ডাক্তার সুজন দাস কে সেখান থেকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে চলে যান, এবং পরবর্তীতে ঘটনা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বি এম ও এইচ ড পূজা মৈত্র কে জানানো হলে, তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন আক্রান্ত ডাক্তার সুজন দাস তিনি এই ঘটনার প্রসঙ্গে জানান, একজন অন ডিউটি ডাক্তারকে এভাবে হেনস্থা এবং মেরে ফেলার হুমকি সত্যিই অবিশ্বাস্য ব্যাপার।তবে আজ আমি বিজেপি নেতার ডাকে সারাদিনই বলে আমাকে মৃত্যুর হুমকি এবং মারধর খেতে হল। তবে একজন রোগীর শোচনীয় অবস্থা আমার কাছে সবথেকে আগে, আমি সেটা করেছি এটাই আমার দোষ। তবে তিনি যে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন সে কথাও সংবাদ মাধ্যমকে পরিষ্কার জানিয়েছেন।
তিনি চাইছেন দোষী কে অবিলম্বে গ্রেফতার করুক প্রশাসন। অন্যথায় সমস্ত ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দেবে। অপরদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লক A সভাপতি সুব্রত সরকার জানান এই ডক্টর সুজন দাস, কে কেন বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে।এই ডাক্তার বাবুই বিগত দিনে বিজেপির সাহায্য নিয়ে বহুৎ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সামান্য শরীর খারাপ থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অধিক শরীর খারাপ দেখিয়েছেন। পরবর্তীতে বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এসেও তাকে দেখা করতে গিয়েছিলেন।পরবর্তীতে বিজেপির হয়ে প্রচারও করেছেন এই ডক্টর সুজন দাস।
আর এখন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের কাছেই তাকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। তৃণমূল ঘটনাটি শুনেছে এবং হাসপাতালের তরফে যে অভিযোগ করা হয়েছে,ডাক্তার নিগ্রহের সেই ঘটনায় দোষীর শাস্তি ও তারা চান। তবে ডাক্তার সুজন দাস কে তৃণমূলের বার্তা রাজনীতি ছেড়ে সেবায় মনদিন।কারণ ডাক্তার বাবু আপনি,রোগীর সেবাই আপনার মূল ধর্ম।অপরদিকে ডাক্তার সুজন দাসের বিরুদ্ধে একরাশ খুব উপড়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত বিজেপি সদস্য দীপক সরদার তিনি জানান এই ডাক্তারবাবুই তার সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন এবং তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেখান তার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ডাক্তার সুজন দাস কে তিনি জানিয়েছিলেন ভর্তির শেষ তারিখ মঙ্গলবার যদি কিছু করা যায় আপনি একটু দেখুন তখন সুজন দাস তাকে বলে আপনাদের মত গরিব লোকের হাসপাতালে কোন স্থান নেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান না হলে পুলিশ ডাকবো যদিও দীপক সরদার পরবর্তীতে তার প্রতিবাদ করলে ডাক্তার সুজন দাস হুমকির সুরে বলেন পরে দেখে নেব এই ঘটনায় ছেলের প্রাণ সংশয় হওয়ার ভয়ে ছেলেকে রাতারাতি হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে আসেন দীপক বাবু।
তবে দীপকবাবুর মত ডাক্তার সুজন দাসের মাথায় কোন প্রবলেম আছে তার কারণ সমস্ত মানুষের সাথে এরকম দুর্ব্যবহার এবং দিনের পর দিন বছর হয় জড়িয়ে পড়েন এই ডাক্তার বাবু প্রশাসনের কাছে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে তবে তিনি নির্দোষ বরণ ডাক্তার সুজন দাসী তার উপরে বিরূপ মন্তব্য করেন এবং তার জাত তুলেও কথা বলেন ঘটনায় তিনি অপমানিত বোধও হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।