অবতক খবর,১২ অক্টোবর,চাঁচল:সানু ইসলাম: একেই বলে প্রতিভা। চার বছরের খুদের প্রতিভায় মুগ্ধ সকলে। ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মধ্যে এক থেকে পনেরোর ঘরের নামতা টানা বলছে চার বছরের এক খুদে। সাথে তার মুখে সংস্কৃত শ্লোকের স্পষ্ট উচ্চারণ মুগ্ধ করেছে নেটিজনদের। নির্দিষ্ট সময়ে একটানা নামতা বলার রেকর্ড করেছে ওই খুদে। যার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড থেকে মিলেছে শিরোপাও। মালদহের চাঁচল সদরের ক্ষুদে প্রতিভাবপণ কন্যা প্রজ্ঞাশ্রী মজুমদার। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার সহ প্রতিবেশীরা।

জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল সদরের ভারতী নগরের বাসিন্দা প্রজ্ঞাশ্রী মুজুমদার। প্রজ্ঞাশ্রীর মা পৌলুমী সরকার চাঁচল কলেজের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপিকা। একেবারে ছোট থেকেই যা শুনতো বা দেখতো তা মাথায় গেঁথে যেত খুদের। বিষয়টি নজর এড়ায়নি খুদের মা ও মাসী -সহ পরিবারের কারও। দেড় বছর বয়স থেকেই মুখস্ত বিদ্যার প্রতি এই খুদের অসামান্য দক্ষতা। ক্ষুদে কন্যার বাংলা নামতার প্রতি অসাধারণ জ্ঞান। ২ থেকে ২০ ঘরের নামতা তার ঠোঁটস্থ। তাই মেয়ের এই প্রতিভা নজর এড়ায়নি মায়ের। চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১১ তারিখে মেয়ের এই প্রতিভার ভিডিও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস পাঠান পৌলুমী দেবী। যেখানে মাত্র দুই মিনিট ১৬ সেকেন্ডের মধ্যে ২ থেকে ১৫ ঘরের নামতা নির্ভুল উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে একটানা বলেছে প্রজ্ঞাশ্রী। এরপর ১৭ আগস্ট দপ্তর থেকে প্রজ্ঞাশ্রীর সেই প্রতিভার কীর্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সংস্থার তরফ থেকে শংসাপত্র, মেডেল-সহ বিভিন্ন উপহার প্রজ্ঞাশ্রীর বাড়ির ঠিকানায় আসে।যে পুরস্কার বাড়িতে আসতেই একরত্তি মেয়ের আনন্দ যেন আর ধরছে না। খুশি খুদের কন্যার মা ও মাসী সহ পরিবার প্রতিবেশী। শুধু নামতা নামতা নয়, সংস্কৃত শ্লোক তার স্পষ্ট মুখস্ত। গায়ত্রী মন্ত্র, শিব মন্ত্র থেকে শুরু করে নানান সংস্কৃত শ্লোকে অসাধারণ উচ্চারণ তার। প্রজ্ঞাশ্রীর মা এবং মাসির তত্ত্বাবধানেই তার শিক্ষা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখনো স্কুলে ভর্তি করেননি মেয়েকে। এত তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না করে মেয়েকে খোলা মনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন অধ্যাপিকা মা।