চলো যাই চৈতন্য নগর মণিপুরে
তমাল সাহা
১) কতদূর
রক্ত গড়াতে গড়াতে যায় কতদূর!
এম ফর মোদি, এম ফর মণিপুর।
২) জলভাত
মানুষ কোতল জলভাত
মৃত্যু কোলে নিয়ে
আমাদের কাটে দিন কাটে রাত।
কত মানুষ মরলো? সে তো সংখ্যা মাত্র!
রাষ্ট্রীয় খুনি
ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক সর্বত্র।
৩) জাগো
বিবস্ত্রা ধর্ষিতা মায়েরা ডাকছে
ওঠো ! ওঠো !
কন্ঠে আর্তনাদের সুর।
ঘুম ভেঙে উঠে দেখি
দাউ দাউ জ্বলছে মণিপুর!
৪) চিত্রাঙ্গদা
তুমি দেখো বিবস্ত্রা
আমি দেখি চিত্রাঙ্গদা।
মণিপুর ডাকে,
হয়ে ওঠো দশভূজা, মোক্ষদা!
৫) সংশপ্তক
মায়েদের বিবস্ত্রা দেখে
লজ্জা শব্দটি মাথা নিচু করে শুয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রকে উলঙ্গ দেখে
ক্রোধে সংশপ্তকেরা অস্ত্র জড়ো করে।
৬) মণিপুরী মা
মা রে কেন নগ্ন হলি বসন খুলি
এরূপ তুই কারে দেখালি?
মা রে মুণ্ডমালী!
এত মুণ্ড কোথায় পেলি
তবে কি তুই দাঙ্গা বাঁধালি?
এতো মুণ্ড কোন ধর্মের কোন জাতের
তুইও কি মানুষ মেরে জাত খোয়ালি!
মা রে তোর হাতে খড়্গ কেন রক্ত মাখে
অহিংসা তবে কোথায় থাকে
এটা তবে কোন দেওয়ালি?
মা তোর রূপ দেখেছি মণিপুরে।
নগ্ন শরীর অস্ত্র করে বললি তুই,
আয় রাষ্ট্র! তোর সাহস দেখি,
মাকে যা ধর্ষণ ক’রে।
ক্ষ্যাপা বলে,
জয় মা তারা! জয় মা কালী!
রাষ্ট্রকে যূপকাষ্ঠে দে রে বলি।