অবতক খবর,৬ সেপ্টেম্বরঃ চন্দননগরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু যুবকের!হুগলিতে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।

মৃত যুবকের নাম অভিষেক হরিজন(২১)।বাড়ি চন্দননগর কলুপুকুর ধর্মরাজতলায়।বাবা রাজেশ হরিজন জানান দিল্লী রোডের পাশে একটি কারখানার শ্রমিক ছিল।গত সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হন।২৮ শে আগস্ট চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এনএস-১ পরীক্ষা পজিটিভ হয়।সেখানেই চিকিৎসা চলছিল।রবিবার অবস্থার অবনতি হয়।গতকাল মৃত্যু হয়।
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি টিম নিয়ে চন্দননগর গিয়েছিলাম।রোগির চিকিৎসা চলছিল।খুবই দুঃখ জনক ঘটনা।হাসপাতালে আলাদা করে কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছি।ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে এলে তাকে নার্সিং স্টেশনের কাছে রাখতে হবে।কবে জ্বর এসেছে সেই তারিখ বেডের গায়ে লিখে রাখতে হবে।তিন দিনের মাথায় ডেঙ্গি রোগি খারাপ হতে শুরু করে।হাইব্রিড সিসিইউ খোলার নির্দেশ দিয়েছি।অনেক সময় সাধারণ জ্বর পরীক্ষার পর ডেঙ্গি ধরা পড়ছে।একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি দেখার জন্য।যে এলাকায় ডেঙ্গি ধরা পড়বে এখানে ধরে নিতেই হবে এডিস মশা রয়েছে।তাই সেই এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে।দিনে রাতে মশারী টাঙাতে হবে।স্বাস্থ্য কর্মিদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
হুগলি জেলায় এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৯২৭ জন।গত এক মাসে ১৩১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।শহরাঞ্চলের মধ্যে সবথেকে বেশি শ্রীরামপুরে ২৪৮ জন আক্রান্ত।চন্দননগরে ৯১ জন।গ্রামাঞ্চলের মধ্যে হরিপালে আক্রান্ত ২৬২ জন।
প্রতিদিন গড়ে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে।শ্রীরামপুর পুরসভা, হরিপাল, বলাগড়, সিঙ্গুর চন্ডীতলা-১ ব্লককে রেড জোন করা হয়েছে।
সিএমওএইচ বলেন,এখন ভাইরাল ফিভারও হচ্ছে।অনেকেই ভয় পেয়ে বড় হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন।এতে ওভার লোড হয়ে যাচ্ছে।আমাদের সিস্টেম রেডি আছে। ব্লক হাসপাতাল রেডি আছে।ফিভার ক্লিনিক গুলোতে চিকিৎসকরা চেকআপ করে সন্দেহ হলে পরীক্ষা করে নেবে।আমাদের অনলাইন মিটিং হয়।জেলা হাসপাতালকে নোডাল করে জেলার অন্য হাসপাতাল গুলোকে ট্যাগ করা হয়েছে।যাতে দিনে রাতে পরামর্শ পাওয়া যায়।