আর দুদিন বাদে অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি বইমেলা শেষ হয়ে যাবে। তার আগে বইমেলা উদ্বোধনের দিন ১৮ জানুয়ারির কথা মনে পড়ে গেল। আমি ২৭ জানুয়ারি বইমেলায় গিয়েছিলাম

ঘন্টা
তমাল সাহা

শীতের বেলা এসে গেছে।এবার শীত একটু ঘন হয়ে পড়ল। শিগগির ঘণ্টা বেজে উঠবে প্রতীক্ষায় আছে শীত ও হিমেল হাওয়ারা।

বছরের এই দিনটাতে
আমি স্তাবক প্রবঞ্চক উমেদার চাটুকার এদের মুখগুলি একসঙ্গে দেখতে পাই।
আর উলঙ্গ রাজার কবির কথা খুব মনে পড়ে। তার কবিতায় এই শব্দগুলি পেয়েছিলাম।

আমিও প্রতীক্ষায় থাকি ঘন্টা বাজানোর দৃশ্য উপভোগ করতে। তবে এখানে কি কাঠের ঘন্টা বাজানো হয়।একবার ঘন্টা
বাজাতে বাজাতে হাতুড়িটি ভেঙে গিয়েছিল।

তোমার ঘন্টা বেজে গেছে! এই বাক্যবন্ধটির মানে কি?

যখন ইস্কুলে পড়তাম একটি পেতলের ঘন্টা ইস্কুলে দেখেছিলাম। পশ্চিমা দারোয়ান রতনলালজি প্রত্যেক পিরিয়ডের পর এক দুই তিন চার করে বাজাতেন। টিফিন পিরিয়ড ও স্কুল ছুটির শেষে দু’রকম ঘন্টা বাজতো। সেই ঘন্টা বাজানোর ঢং ঢং শব্দ আমি ভুলে গেছি!

এখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রাজ্ঞ বুদ্ধিজীবীরা রাষ্ট্রনেতাকে সঙ্গে নিয়ে ঘণ্টা বাজান।
আমি ঘন্টা বাজানোর শব্দ শুনি এবং ভূষণ পাওয়া এইসব মানুষদের দেখি। তারা মুদ্রা মোহর পদ পদক এবং শাল পেয়েছেন।
আরো কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। অপেক্ষা শব্দটি বসাতে গিয়ে আমার মনে হয় এক্ষেত্রে প্রতীক্ষা শব্দটি বসালে কি ভালো হতো?

আন্তর্জাতিক বইমেলায় যিনি উদ্বোধক হিসেবে রেকর্ড করবেন তাকে কি কোনো সম্মান শিরোপা দেওয়া হবে?
এসব প্রশ্ন আমার মস্তিষ্ক আবিষ্কার করে।
বইমেলাশ্রী বা বইমেলাশ্রীমতী কী কোনো শিরোপা হতে পারে?

এরা অনেক কিছু লেখেন, লেখেন মানুষের জীবনের ইশতেহার। আর শুধু দেখেন রাষ্ট্রের চৌর্যবৃত্তি, দুর্নীতি, প্রজন্মের প্রতি প্রতারণা।

এরা বইমেলার উদ্বোধন,
বইয়ের গুরুত্ব নিয়ে সুন্দর বলেন। যারা বই পড়ে মানুষ হয়েছে,সেই প্রজন্ম ধর্ণা দিয়ে সেই কবে থেকে পথে বসে আছে সে বিষয়ে কিছু বলেন না।

বই পড়া অন্যায় কিনা জানিনা। আমরা নিয়মিত পাঠাগারেও যাই না। আমরা বইমেলা! বইমেলা! করে মরি!
তবে বইমেলায় দর্শনী মূল্য নেই এবং সরকারি পানীয় জলের পাউচ ফ্রি পাওয়া যায়।