গজলের জীবন
তমাল সাহা

তুমি রাজনীতি করো আর স্লোগান তৈরি করো। তুমি তো নিশ্চিত জানো স্লোগানের মধ্যে গান শব্দটি আছে।
কথা সুর ধ্বনি এবং হৃদয়ের বাইরে কী আসলে কোনো জগত আছে?

সামাজিক মানুষ তুমি।
ফুল নারী গান শিশু অথবা ঋতুর বৈচিত্র ছেড়ে তুমি কতদূর যেতে পারো!

জাগতিতে সবকিছুই আলিঙ্গনে আছে ভালোবাসা এবং স্পর্শের মেদুরতায়।
নীল খামের ভেতরে লুকিয়ে আছে শব্দের ঐশ্বর্য, বুকের ধ্বনিময়তা, চোখের ইশারার আক্ষরিকতা।
জানো তো শরীরের বর্ণমালা ভাষা হয়ে উঠতে পারে!

এই যে গজলের পংক্তিমালা—
চান্দি য্যায়সা রং অথবা থোড়ি থোড়ি পেয়ার করো। তার যদি সঙ্গে বলা হয় দিওয়ারো সে মিলকার রোনা তাহলে সেই উচ্চারণ বুকের দুয়ারে নিশ্চিত কড়া নাড়বে।
ভালোবাসার বিনম্র মুখটি মনে পড়বে।

চিঠি আয়ি হ্যায়! চিঠি তো এলো, পড়াও হলো। সেই চিঠিটি যত্ন করে রেখে সে গেল আমাদের কাছে। তারপর উদাস হয়ে চলে গেল।

সুরলোকে মন্দাকিনী আছে। সেই অমরাবতীতে কোনো জলাশয়ে পঙ্কজ কি তার সুরের পাপড়ি প্রস্ফুটিত করে সুরের বর্ণমালাকে বিস্তীর্ণ করবে!