অবতক খবর,২৮ ডিসেম্বরঃটোল প্লাজা বলে ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে। শিক্ষক মশাই এ বিষয়ে একদিন বলেছিলেন, আসলে টোল কথাটি বাংলা শব্দ। বাংলার তোলা শব্দটি অপভ্রংশে টোল হয়েছে। সুতরাং ভাষায় যখন টোল বা তোলা আছে সুতরাং সেটা তুলতে আপত্তি নেই। অবশ্যই তির্যকভাবে তিনি এই বিশ্লেষণ করেছিলেন বাংলা ভাষার মাধুর্য বোঝাতে।

তোলা এই গাঙ্গেয় উপত্যকায় অন্য মাত্রা পেয়ে গিয়েছে। তোলা,তোলাবাজ,তোলাবাজি বিভিন্ন রূপে খুবই ঘরোয়া হয়ে গিয়েছে। তোলা তোলায় এখন কোনো লজ্জাও নেই। এটা সর্বজনস্বীকৃত। মন্ত্রী নেতা বড় নেতা মেজো নেতা সেজো নেতা ছোট নেতা সবাই তোলা তুলতে পারেন। জীবনের শেষ তোলা পটল তোলা। শ্মশানের জমিও নেতারা দখলদারি করে নিয়েছে এটা জানি। শেষ পর্যন্ত শ্মশান থেকেও তোলা তোলা হবে কিনা জানা নেই। তোলা এমনই সর্বগ্রাসী।

তবে এই রস-তোলার জন্য শীত ঋতুকেই দায়ী করতে হবে। বর্ষাকালে নদী পারাপারের জন্য সেতু-তোলা চালু হতে পারে।

জানা গেছে,বীরভূম জুড়ে যে খেজুর গাছ রয়েছে সেখানে সন্ধ্যায় হাঁড়ি পাততে আসেন গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য। এই গাছিদের অন্য ভাষায় বলে শিউলি। সূত্রের খবর সেখান থেকেও নাকি তোলা তুলছেন এলাকার নেতারা। এই তোলা তোলার জন্য শীত অবশ্যই দায়ী। কারণ শীত না হলে খেজুর গাছের শরীরে তো আর রস আসতো না,আর রসের হাঁড়ি ও পাততে হতে না,তোলাও দিতে হতো না।

জানিনা রসের নাগর শ্রীকৃষ্ণ এসব কি করে সহ্য করছেন? এরপর পার্কে উদ্যানে বন্ধু বন্ধুনিরা বেড়াতে গেলেও ভালোবাসার তোলা দিতে হবে কিনা জানা নেই।

একজন জানালেন,যদি ঘন হয় রস,কিছু টাকা তো দিতেই হবে, বস!

শরীরে কাঁচা রসের হাঁড়ি!

মৌ মৌ গন্ধে ভারী

ও মোহিনী! ডাক না ওরে

যাবো যে তোর বাড়ি।