অবতক খবর,৩১ জানুয়ারি,মেয়র: আইনের উপরে কেউ নয়। খাটাল রাখা কলকাতায় বেআইনি। আমি নগরপাল কে বলেছি খাটাল গুলি তুলার ব্যবস্থা করুন। সেখানে যদি আমাদের স্টাফ গিয়ে দালালি করে। ১৭ হাজার কর্মচারী রয়েছে। তার মধ্যে একজন ভুল করতে পারে অন্যায় করতে পারে। এটা কি করে থ্রেট কালচার কি। নিশ্চয় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। No one is above law। গায়ের জোড়ে কোনো বেআইনি বাড়ি আটকানো যায় না। যারা হই হই করছে। তাদের কে জানতে হবে যে আইনের বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয়।
আমাকে যখন সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তখন পড়ার লোক আটকানো চেষ্টা করেছিল। আমি বললাম না এই সমস্যার সমাধান আইনের মাধ্যমে সম্ভব। প্রোমোটার দের উস্কানি তে তারা হই চোই করছিল। প্রোমোটার যা করছে মনে হচ্ছে একটা সেলের মধ্যে রয়েছে। অনেক গরীব মানুষ আছেন যারা বাড়ি করার ক্ষমতা নাই। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরীব মানুষের জন্য বাংলা বাড়ি করেছেন। আমাদের একদিন গালাগালি দিলেন তাতে কি হয়। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করলে আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। নোটিশ না দেওয়ার অভিযোগে তিনি বলেন মালিকের নামে নোটিশ গেছে। প্রোমোটারের নামে কোনো সন্ধান আমাদের কাছে নেই।
তাই নোটিশ জমির মালিকের নামে যাবে। ট্যাংরা মানুষ চিন্তা নিয়ে তিনি বলেন আমাদের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার যে ভাবে বলবে সেই ভাবে বাড়ি ভাঙা হবে। তবে যদি গরীব মানুষ আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা তাদের জন্য বাংলা বাড়ি করে দেব। পুর সভার নজরদারি আছে। এখন আর বেআইনি বাড়ি হবে না। বার বার বলা হচ্ছে জমি দলিল দেখে নিন পুর সভার নকশা দেখে নিন। তার পরেই বাড়ি কিনুন বললেন মেয়র। এদিন তিনি সুপ্রিম কোর্টের একটা নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন। যতদিন বাড়ির সিসি পাবে না ততক্ষণ কোনো পরিষেবা পাবেন না। জল পাবেন না জল পাবেন না নিকাশি লাইন পাবেন না। গার্ডেন রিচ বিল্ডিং পড়ার পর আমি দেখলাম। আমি ১৩ টি লাশ বার করে দেখেছি। তার পরে আমরা অনেক কাজ করেছি। আমি কোনো গরীব মানুষ কে ক্ষতি করতে চাইনি। বেআইনি বাড়ি ভাঙতে চাই।
কিন্তু তার জন্য তাদের সুরক্ষা নিয়ে আপস করতে পারিনা। এই হেলে বাড়ি নিয়ে কারা কারা বাড়ি নিয়ে কাজ করে। তাদের ক্রেডেন্টিয়াল নিয়ে থাকি। তার জন্য আমার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি। তার আগে আমরা তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি যাচ্চাই করার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার দের পরামর্শ এবং মতামত নিয়ে আমরা তারপরেই সেই সংস্থা কে কাজ দেব বললেন মেয়র। তার জন্য এই ধরনের সমস্ত সংস্থা কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। যারা পারবে তাদের কেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। হেলে বাড়ি কে সোজা করার বিষয়ে বলেন মেয়র। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায় পড়ে শুনান তিনি। শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে তিনি বলেন যে বিজেপির তো ৭৩ টি আসন লাগবে। তার পরেই তো আমার আসনে বসবি শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। খুবই অন্যায় হচ্ছে।
গলফ গ্রিন যেটা হয়েছে। সেটা খুব সমস্যা হচ্ছে। তাদের কোনো কাগজ দেয়নি। মনে হচ্ছে মানুষ মারা যায়নি। গরু ছাগল মারা গেছে। এটাই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। বলছে যা নিয়ে যা। যে ভাবে করোনার সময় লাশ বসিয়ে দিয়েছিল। আমার জল দিয়ে গঙ্গা থেকে দেহ বার করেছিলাম। এর দায়ী নিয়ে যোগী ও মোদি বিজ্ঞাপন দিন। যে এর জন্য দায়ী। রোজ আগুন জ্বলছে। খুন করে মানুষ মারছেন। আবার এখন পদপিষ্ট করছেন। যারা সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়। এক্সট্রেমিস্ট হয়ে যায় তাদের মাথা মোটা হয়ে যায়।
তাদের থেকে সরকার চলে না। আজকে আমরা বুঝতে পারছি কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সমস্ত মন্ত্রী কে গঙ্গাসাগর ফেলে রাখেন। পুজোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো ভিআইপি কে ঢুকতে দেন না। কারণ পদপিষ্ট হয়ে মানুষ মোর যাবে। তারা ভিআইপি কাল থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। কখনও ভিআইপি যাচ্ছে কখন অমিত শাহ যাচ্ছে। কত মানুষের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক মৃত্যু হয়েছে চেপে যাচ্ছে। লোকানোর চেষ্টা। ওটা কে অসভ্য লোক অসভ্য দল। যদি যোগী মোদি দায়িত্ব না নেই তাহলে ধর্মতলা তাকে কান ধরে উঠে বসা উচিত শুভেন্দু কে হামলা ফিরহাদ হাকিমের। নিরাপদ শহর মানে আইনশৃঙ্খা ভালো থাকা উচিত। একসময় ছিল যখন আইনজীবী বলছিল আমরা না খেয়ে মরে যাচ্ছি।
আমাদের মানুষ আইন শৃঙ্খলা মেনে চলে। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রোশ মানুষের থাকবে। আমাদের এখানে ইউপি বিহারের মত হয় না। নৈহাটি হচ্ছে পুরোটা হচ্ছে বারাকুর বেল্ট পুরোটাই বিহার এবং ইউপি থেকে লোক এসেছে। সেটা হচ্ছে ক্রিমিনাল এলাকা। তার মানে এটা নয় যে চাৎকাল আমাদের ভাইরা কাজ করছে তারা ক্রিমিনাল। এর মধ্যে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়েছে। সারা জীবন সরস্বতী পূজা হয়ে গেছে। কিছু কিছু লোক আছে যারা বিজেপি কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এইসব করে। সরস্বতী পুজো শুধু ধার্মিক পুজো নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতি পরম্পরা। যারা এর বিরুদ্ধে হয় তারা হচ্ছে বাংলার বিরোধী বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।