অবতক খবর,মালদা:সানু ইসলাম;২০ নভেম্বর:স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক।সময়মতো টাকা পাঠাতেন না।পুত্র সন্তানকে নিয়ে অভাবে দিন কাটছিল মায়ের।অভাবে থাকায় ১৮ দিনের পুত্রসন্তানকে এক ব্যবসায়ীর কাছে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মা।
আর সেই খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে।যদিও পরে গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে ব্যবসায়ীকে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে শিশুটিকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন ওই গৃহবধূ।আর সেই খবর সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন।আজ চাঁচল মহাকুমা শাসক সৌভিক মুখার্জির নির্দেশে,হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডল এদিন সরকারি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ওই গৃহবধুর বাড়িতে যান। তাকে সব রকম সহযোগিতা করেন।
উল্লেখ্য, মালদার চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী দাস।স্বামী ভিন রাজ্যে কর্মরত। ঠিক ভাবে টাকা পাঠাতে পারে না ওই গৃহবধূর স্বামী বলে অভিযোগ।ওই গৃহবধূর এক বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। চলতি বছর ১ নভেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আরেকটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় লক্ষীদেবী।কিন্তু বাড়িতে এতটাই টাকার অভাব যে সদ্যোজাতের প্রয়োজনীয় কোন খাবার বা সামগ্রী কেনার ক্ষমতা নেই লক্ষীদেবীর।গৃহবধূ লক্ষ্মী দাস জানিয়েছেন, স্থানীয়বএক ব্যবসায়ীর কন্যা সন্তান রয়েছে।
কিন্তু কোনো পুত্র সন্তান নেই।লক্ষ্মীর সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে টাকার বিনিময়ে কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তাই অভাবী লক্ষীদেবী দেড় লক্ষ টাকার বিনিময় তার সদ্যজাতকে তুলে দেন ব্যবসায়ের কাছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডল বলেন,পরিবারটির সমস্যার কথা শুনেছি। তাদের আর্থিক সাহায্য এবং মাসে মাসে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তারা সরকারি ঘর পেয়েছে কি না, তাও খোঁজ নিয়ে দেখতে হচ্ছে।