ক্ষুধা ও প্রেম কাব্য
তমাল সাহা

১) প্রেমের টান

প্রেমের টানে আমি তোমার কাছে আসি
প্রেমিক-প্রেমিকা হতে চায় কাছাকাছি

ভাতই আমার প্রেমিক অথবা প্রেমিকা
ভাতকেই আমি ভালোবাসি

প্রেমিক প্রেমিকা ডিভোর্স হয়ে যায়
ভাতকে ছেড়ে থাকা বড় দায়!

যদি না পাই ভাতের ঘ্রাণ
ছেড়ে যায় প্রেমের পিছুটান

২) দুয়ারে ক্ষুধা

দুয়ারে রেশন অনেক হয়েছে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কত টাকা রাখা আছে
পৃথিবীর বৃত্তে জেনে গেছে সবাই।
পরিধি আঁকা হয়ে গেছে অনেক আগে
কেন্দ্রে আছি আমরাই।

সেই আদিম যুগ থেকে
ক্ষুধা লেখা হতে থাকে শিলালিপি অরণ্যে গুহায়।
ক্ষুধা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে
কবিতায় কাগজের পাতায়।

ক্ষুধা শব্দটি ক্লিশে হয়ে গেছে
ক্ষুধাতুর শিশুও হজম করে নিয়েছে ক্ষুধা।
পেটে ক্ষুধা নিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে
তাকে অতি কষ্টে আগলে রাখে বসুধা!

৩) ক্ষুধা নৃত্য

দিন নাচে রাত্রি নাচে
পেট ঘুমিয়ে আছে খিদের আঁচে।

পৃথিবী স্থির, না পৃথিবী ঘোরে?
মায়ের চুপসানো মাই মুখে শিশু নড়েচড়ে
পাশে চুপচাপ শুয়ে আছে হাড্ডিসার বাপ।
ওরা কী দিয়ে করে খিদের পরিমাপ!

৪) খিদে কথা

পেটে যাদের খিদে নেই
তারাই খিদে নিয়ে লেখে।
যাদের পেটে খিদে আছে
তারা শুধু ভাতের স্বপ্ন দেখে!
সে লেখা তারাই পড়ে
যারা পয়সা দিয়ে
লেখাপড়া শেখে।

খিদে-লেখক উঁচকপালে
জোটৈ পুরস্কার।
ক্ষুধার্তকে মুখ ঝামটা–
তোর এতো খিদে কেন?
জোটে তিরস্কার!