অবতক খবর ::১৬ ই মার্চ, শালবনীঃ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অজ্ঞন মাহাত, শালবনীর গর্ব, শারিরীক প্রতিবন্ধকতা কে দূরে সরিয়ে ভবিষ্যতের দোরগোড়ায়। একশ শতাংশ প্রতিবন্ধী এই পরীক্ষার্থীর খবরটি সংবাদপত্রে দেখে শালবনীর সদর উত্তর চক্র ও আনন্দপুর চক্রের মেদিনীপুর থেকে আগত উচ্চ ও প্রাথমিক শিক্ষকদের ইচ্ছে হয় পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াতে।
বর্ষীয়ান শিক্ষক অরবিন্দ দত্ত ও শুভম চাউলিয়ার সাথে কথা হয় মেদিনীপুরবাসী রামনারায়ণ সিংহের, তিনি একটি হুইল চেয়ার দিতে চান অজ্ঞনকে। তাঁরা যোগাযোগ করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহকুমা কনভেনার তন্ময় সিংহের সাথে।
ছাত্র যুব শিক্ষক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্বন্বয় মঞ্চের তরফে ঠাকুরদাস মাহাত ও কুনাল কান্তি শীট ছাড়াও বিশিষ্ট শিক্ষক প্রদীপ বরম, বিশ্বনাথ সিনহা,অভিষেক জানা, শঙ্কর বিশাল, শৌভিক সুন্দর সেন, অরিন্দম পন্ডিত প্রমুখেরা ঠিক করেন সোমবারই দেওয়া হবে হুইল চেয়ার।
আজ সোমবার বিদ্যালয় ছুটি সত্বেও সকলে উপস্থিত হয় অজ্ঞনের বাড়ি, তন্ময় বাবু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই পরীক্ষার্থী কে শুভকামনা জানিয়ে আশ্বাস দেন কোনো সমস্যায় যোগাযোগ করতে,তারা পাশে থাকবে। রামনারায়ন বাবু হুইল চেয়ারে বসিয়ে দিলে সে হাতল ঘুরিয়ে নিজে গাড়ী চালাতে পেরে খুশিতে ভরে ওঠে শালবনীর অজ্ঞন, শারিরীক প্রতিবন্ধকতা কে দূরে সরিয়ে চন্দ্রকোনা রোডে সারদাময়ীতে পরীক্ষা দিতে নিয়মিত যায় সে।
বাবা জানায় ছেলে প্রথম বিভাগের কাছাকাছি মার্কস পাবে তার আশা। শালবনীর বিডিও অফিস থেকে তাকে এই মাসেই একটি শৌচাগার করে দেওয়া হবে বলে বলা হয়েছে, তার ইচ্ছা একটি বাড়ি পাক অজ্ঞন।
সরকারের তরফে মানবিক ভাতাতে মাসিক একহাজার টাকা সাহায্য পেলেও ভবিষ্যতে পড়াশোনার সুবিধার জন্য মায়ের ইচ্ছে সরকারের বা কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে একটি চারচাকা বাইকের, যাতে আরও পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে বাবা মার নাম সার্থক করতে পারে অজ্ঞন।