রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::   রাজ্যে একমাস আগে তান্ডব চালিয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় আমফান। হাওড়া, হুগলি সহ দুই ২৪ পরগনাতে সেই তান্ডবের চিত্র আজও বিদ্যমান। ঝড়ের দাপটে শিকড় সমেত উপরে গেছিলো ফলশ্রুতি হাজারে হাজারে গাছ উপড়ে পড়েছিল মাটিতে। ঝড়ের তান্ডব হাওয়াতে উড়িয়ে নিয়ে গেছিলো অনেক মানুষের ঘরের চাল।

হাওড়ার পাঁচলা বেলডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেলডুবি হাইস্কল লাগোয়া পাড়ার বাসিন্দা প্রবীণ কৃষ্ণপদ সর্দার (৭০)। গত ২০ শে মে সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়াতেই আম্ফানের প্রবল হওয়ার ধাক্কায় মাটিতে ফেলে পড়ে যান কৃষ্ণপদ সর্দার। সেই দুর্ঘটনায় তার ডানহাত, একটি পা এবং কোমর ভেঙে যায়। খুব অল্প পারিশ্রমিকে শ্রমিকের কাজ করতেন। সংসারে অভাব নিত্যদিনের। এখন তিনি অবসর প্রাপ্ত মানুষ। সরকারি রেশনের খাদ্য সামগ্রীর উপর নির্ভর করেই পেট চলে তার ও তার পরিবারের। দুই ছেলে পেশায় দিনমজুর। তারা আলাদাই থাকেন । লকডাউনের জেরে তারাও কাজ হারিয়ে অভাবের সংসারে দিন কাটাছে। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে এই বৃদ্ধের পরিবার সরকারি সাহায্যের আশায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যেকে জানান। শুধু গালভরা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু মেলে নি। প্রায় দের মাস কেটে গেলেও কোনরকম সহযোগিতা পান নি তিনি। বারবার দরবার করেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।

তার বড়ো ছেলে জানান বাবার চিকিৎসা খরচ প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা একেবারে অসাধ্য তাদের কাছে। যার ফলে একপ্রকার বিনা চিকিৎসাতেই বিছানা শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়ে রয়েছেন গত দেড়মাস ধরে। জীবনে এই অমানিশার অন্ধকার কেটে কবে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সেই আশাতেই দিন গুনছেন এই অশীতিপর বৃদ্ধ ও তার পরিবার।