মার্কসবাদী দর্শনে আত্যন্তিক বিশ্বাসী,স্পষ্ট উচ্চারণে আস্থাবান জীবন শিল্পী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জন্মদিন আজ ১৯ মে।
এইসব মানুষ,কথাকার,পাবো আর!
আমাদের জীবনের ঐশ্বর্য উপহার।

কালো ফ্রেম পুরু কাঁচ
তমাল সাহা

কালো ফ্রেম পুরু কাঁচ
কেন ছিল তার চশমায়?
তার লিখনশৈলী পাঠে
ক্রমান্বয়ে তা জানা যায়।

অণুবীক্ষণ,দূরবীক্ষণ দুটোই
ছিল তার হাতে।
জল, জমি আর মানুষ
তিনটি বস্তু ছিল তার মাথাতে।

বিশাল নদী নিয়ে লেখা যায়
জীবনের মহান আখ্যান।
ধীবর ছোট্ট হলেও
তীব্র তার ছোট্ট জলযান।

জলই জীবন, জীবনই জল
সেই শিখিয়েছিল সকলের আগে।
কীভাবে জাগানো যায়,
মানুষ জাগে।

মধ্যবিত্ত জীবনের খুঁটিনাটি
শ্রমজীবীদের বারোমাস্যা
ভিক্ষাজীবীর যৌন বাস্তবতা
অতসী মামির দীর্ঘশ্বাস
কুসুমের শারীরিক ভালোবাসা
লিখেছিল সে পাতায় পাতায়
তার চোখে সংগ্রাম জীবন সংস্কৃতি
একই সঙ্গে ধায়।
হারানের নাতজামাইরা কীভাবে বাঁচে
সেসব রসদ মজুত ছিল তার কাছে।

এমন নয় বাহাদুর
লেখক তো কলমপেষা মজুর।
তাকেও লেখায় দিতে হয় শ্রম
ঘুরতে ফিরতে হয় প্রচুর।

মানুষের জীবন তো চলন্ত সার্কাস
না দেখলে লেখা যায় সেসব ইতিহাস?
জীবনের মদ সে করেছিল আকন্ঠ পান
লুম্বিনী উদ্যান গিয়েছিল সে উন্মাদ!
তবুও বিস্মৃত হয়নি লিখনে
মানুষের জয়গান।

মানুষটি কি এখনও বেঁচে আছে?
নদী তো বহতা, যায় বহুদূর
দীর্ঘ তার যাত্রা, সে তো এখনও নাব্য।
কান পেতে শুনি দূরাগত ধ্বনি তার,
দিবারাত্রির কাব্য।