কার্তিক সংক্রান্তি আজ। কার্তিক পুজো। এই গাঙ্গেয় উপত্যকায় কার্তিক বাবুরা বিভিন্ন রূপে হেঁটে বেড়ান

কার্তিকচন্দ্র সমীপেষু
তমাল সাহা

নীলাম্বরী নক্ষত্র জ্বলে। কৃত্তিকা ঝরে পড়ে উজ্জ্বল পূর্ণিমায়। মৃত্তিকায় চলাচল করে অগ্নিজ শিখিধ্বজ, ছড়িয়ে পড়ে সুবহ্মণ্যম, মুরুগন ভারতীয় উপমহাদেশে এবং শুনি শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, মালয়েশিয়ায়।
যোগাভ্যাসেও সঙ্গম হয়ে থাকে, শিবের মিলনে পার্বতী তারকচন্দ্রকে খুঁজে পায়!

কার্তিক-কার্তিকেয় বাবু বা নেতা এখন আমাদের পাড়ায়। কার্তিক সংক্রান্তিতে সন্ত্রাস দেখি, ক্রান্তি কোথায়?
ছেলেপুলে নেই নিঃসন্তান লক্ষ্মীহীন বাড়ি।
অগত্যা আর কি উপায় ফেলা কার্তিক রূপে তখন তিনি দুঃখহারী।
ষড়রিপু ছড়িয়ে ষড়ানন তিনি, চালান অভিযান। তার হাতে ধনুঃশর নেই আর, তিনি এখন মহান নেতা কত তার নাম! পালবাড়িতে বড় মেজ ছোট নেতা, এদিকে জামাই ধুম ধ্যাড়া ঢ্যাঙ্গা বামুন বিভিন্ন সাজে কার্তিকেরা ঘুরে বেড়ান। একাগ্র মন তার, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলে গরু পাচারে ভিড়ে যান। চাঁদমারি তার ওইতো অদূরে কয়লা বালি পাথর খনি-খাদান।

লাফিয়ে লাফিয়ে চলেন, তিনি নাকি স্কন্দ! কাটমানি কমিশন লেখা আছে তার অভিধানে।এপারে ওপারে সব গোপন কথাবার্তা, শতাব্দী প্রাচীন চটকলগুলি বন্ধ।

তিনি কার্তিক মহাশয়।
দেবযুদ্ধের সেনাপতি তিনি, শৌর্য বীর্যবান
এখানেও চাই তাকে, ভোট যুদ্ধে তিনি আগুয়ান।
তীর ধনুক বাতিল এখন, চাই বোমা বারুদ পিস্তল। কার ছেলে জখম হবে, কেউবা যাবে অস্তাচল!

কৃতদার অকৃতদার যে যাই লিখুক, গণেশ ছোট, না কার্তিক বড়— বিতর্ক করুক ,তারা প্রজ্ঞাবান।
আমি দেখি, দেখাই আমার কাজ, লিখে চলি নয়া স্কন্দপুরাণ।