অবতক খবর,২৯ ডিসেম্বর,মালদা- বিভিন্ন বিভাগে কাজ ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে ভাইস প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের ১৩৫ জন অস্থায়ী কর্মী। মঙ্গলবার দুপুরে মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী কর্মীদের আচমকা এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ সামলাতে ভাইস প্রিন্সিপাল ডা: পুরঞ্জয় সাহার অফিস ঘরের সামনে মোতায়েন করা হয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে। কিন্তু পুলিশের সামনেই মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা তাদেরকে কাজে পুনর্বহাল রাখার দাবি জানিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়।
বিক্ষোভকারী অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে তাদের কাজে পুনর্বহাল করার দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছিল । এরপর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তাদের কাজে পুনর্বহাল করার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়। কিন্তু মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এই অস্থায়ী কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারেননি। আর তারই জেরে এদিন ভাইস প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে কাজে পুনর্বহাল না করা হলে তাদের এই আন্দোলন চলবে বলেও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারী অস্থায়ী কর্মীরা।
মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল কলেজে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল, গ্রুপ ডি সহ বিভিন্ন বিভাগের ১৩৫ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। যাদেরকে পুজোর আগে করোনা সংক্রমনের মধ্যে আচমকাই কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর এই অস্থায়ী কর্মীরা এক টানা কয়েক মাস ধরে লাগাতার বিক্ষোভ এবং অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন। পরবর্তীতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ওই অস্থায়ী কর্মীদের কাজে পুনর্বহাল করার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরেও সেই অস্থায়ী কর্মীদের এখনো কাজে যোগ দিতে পারেনি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা।
মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অস্থায়ী কর্মচারী সমিতির সম্পাদক পিন্টু শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা মেডিকেল কলেজে কাজ করে আসছি। বিভিন্ন বিভাগে মোট ১৩৫ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। কিন্তু যখন আমাদের নতুন করে জয়েন করানোর জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশ দিয়েছিল। সেই চিঠি আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু রহস্যজনকভাবে আমাদের মেডিকেল কলেজে নতুন করে কাজে পুনর্বহাল করা হচ্ছে না। পাশাপাশি কবে আমাদেরকে কাজে নিযুক্ত করা হবে , সে ব্যাপারেও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু জানাচ্ছে না । তাদের উদাসীনতার মনোভাব দেখে এদিন আমরা বাধ্য হয়েছি আন্দোলন করতে। অবিলম্বে যদি আমাদের কাজে না নেওয়া হয়। তাহলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন চলবে।
যদিও এ প্রসঙ্গে মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা: পুরঞ্জয় সাহা কোনো মন্তব্য করেননি।