অবতক খবর,৩০ জুন: কাঁচরাপাড়া থেকে ব্যারাকপুর ৮৫ নং বাস রুট নামে পরিচিত, এই বাস চলাচলের ব্যাপারে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলই ক্রেডিট অর্থাৎ কৃতিত্ব নিতে চাইছেন।

এ বিষয়ে তৃণমূল টাউন সভাপতি অশোক তালুকদার অর্থাৎ যিনি খোকন তালুকদার নামে পরিচিত তিনি জানান যে,এই বাস চালুর ব্যাপারে এই অঞ্চলের সিপিএম এরিয়া কমিটির দেবাশিস রক্ষিত বিশেষ কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। আমরা জানিয়ে দিতে চাইছি যে এই কৃতিত্ব তার নিয়ে লাভ নেই। কারণ তিনিতো সিপিএম করেন আর এই যে বাস চলছে সেটা সরকারি বাস। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই সরকার তৃণমূল পরিচালিত। দেবাশিস রক্ষিত সামান্য কর্মচারী ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের।‌এখন লকডাউন অবস্থায় তার দায়িত্ব পড়েছে কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে এবং এই যে বাস চালু, বাস চালুর তদারকি তিনি ট্রান্সপোর্ট কর্মী হিসেবে দেখছেন, তিনি সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার কাজ করছেন। এটি কিন্তু তিনি সিপিএম নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেননি বা দেখভাল করছেন না। কিন্তু যা প্রচার হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যেন সিপিএম-ই এই রুটটি পরিচালনা করছেন এই লকডাউন মুহূর্তে। এটাতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই যে,আমরা তৃণমূল দল থেকেও এর কোন কৃতিত্ব নিতে চাইছি না। এটা সরকারি পরিষেবা, সেই অনুযায়ী অর্থাৎ নিয়ম অনুযায়ী বাস চলাচল করছে। তাঁর কর্তব্য তিনি ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মচারী হিসেবে এই রুটের দায়িত্ব পেয়েছেন, সেই জন্যই তিনি তদারকি করছেন।

কিন্তু উল্টোদিকে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি এই নিয়ে একটি সুকৌশলী চিন্তাভাবনা করেছেন,এটা যেন সিপিএম রাজনৈতিক দল করেছে এমন একটা প্রচার দিতে চাইছেন এবং এইসব করে জনসমক্ষে তিনি নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন। তিনি ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের সামান্য কর্মচারী। সুতরাং তার ভূমিকা লোকে বুঝতে পারছে এবং বর্তমানে ট্রেন বন্ধ আছে। তিনি সেই সুযোগটি নিয়েছেন এবং তিনি সেই কাজটি করছেন। আরো সূত্রের খবর, তৃণমূল শহর সভাপতি খোকন তালুকদার আরও জানাচ্ছেন যে, যেহেতু লকডাউন পিরিয়ড,ট্রেন চলাচল যেহেতু বন্ধ সেহেতু তিনি তাঁর নির্দিষ্ট কর্মস্থলে যেতে পারছেন না, সেই কারণে তাঁকে এই অঞ্চলেই ডিউটি দেওয়া হয়েছে। কাঁচরাপাড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাস পরিচালন ব্যবস্থা তত্ত্বাবধান করার জন্য। ‌