অবতক খবর,৩ আগস্টঃ গুড়িয়া মাহাতো,ডাঙ্গাপাড়া গির্জা অঞ্চলে থাকেন। ‌১৮ নং ওয়ার্ডের অধিবাসী, তিনি ভোট দেন,তার ভোটে নেতারা জয়লাভ করেন। অথচ নেতাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই তার প্রতি নজর রাখার।

জানা গেছে, গুড়িয়া মাহাতোর স্বামী নেই। তার পরিবারো রয়েছে আরো দুই মেয়ে। তিনি এখন অসহায় নিরুপায় হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তার পাশে এখন কারা আছেন তা বোঝা মুশকিল। তার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে, এ অঞ্চলের কাউন্সিলর তো বটেই সাধারণ মানুষ এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা তার পাশে আছে কিনা সন্দেহ। ‌ জানা গেছে, গুড়িয়া মাহাতো বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। সব শুদ্ধ তার মাসিক আয় ১৪০০ টাকা।

তার ছোট মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে, সে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী। তার রক্তের প্রয়োজন, ওষুধের প্রয়োজন। এমন কি নিয়মিত রেশনেরও প্রয়োজন।

তার বড় মেয়ে সোনি মাহাতো মাধ্যমিকে ৭৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সে এখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। তার পড়াশোনার খরচ চালানো, তার শিক্ষায় সহযোগিতা করা অর্থাৎ টিউশন পড়ানো এসব বিষয়ে গুড়িয়া মাহাতো মা হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

এই সমস্ত জানিয়ে তিনি প্রায় কাঁদো কাঁদো স্বরে বললেন, কি হবে আমাদের! আমাদের দেখবে কে? এভাবে একটি ওয়ার্ডে যে অসহায় পরিবার রয়েছে এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কিছু জানেন কিনা এই প্রশ্ন করলে গুড়িয়া মাহাতো বলেন সেভাবে কেউ আমাদের পাশে এখনো এসে দাঁড়ায়নি।

তিনি আরো জানান, প্রায় চার বছর ধরে তিনি এইভাবে আর্থিক কষ্টের মধ্যে সংসার চালাচ্ছেন। কারণ তার স্বামী সচার বছর আগেই মারা গিয়েছেন। তার যে ন্যূনতম একটি আয় ছিল তা থেকে তিনি এখন বঞ্চিত। ফলত তার পক্ষে এই পরিবার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।