অবতক খবর,৩১ আগস্টঃ বীজপুরে এখন এক অদ্ভুত পরিস্থিতি চলছে। সকল জনপ্রতিনিধিরাই নিজের পুর অঞ্চলের পরিবেশ ভালো রাখতে চাইছে।রাস্তাঘাট,জল,আলো সমস্ত কিছুই যাতে ঠিকঠাক থাকে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু কারোরই নজর নেই দূষণের দিকে। শহর যাতে দূষণমুক্ত হয় সেই দিকে নজর দিচ্ছে না কেউই। আমরা কথা বলছি কাঁচরাপাড়া শহরের। আপনারা যদি গান্ধী মোড় থেকে যাত্রা শুরু করে জোড়া মন্দির পর্যন্ত যান, তবে একটু সাবধানেই যাবেন। কারণ আপনি যখন তখন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন।
কারণ যেভাবে এখন কাঁচরাপাড়া ১২ নং ওয়ার্ডের ভাগাড় থেকে নোংরা বেরোচ্ছে, তাতে গোটা রাস্তায় সেই নোংরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ডাম্পারে করে নোংরাগুলো ভাগাড় থেকে বেরোচ্ছে। কিন্তু যেই নিয়মে এই কাজ হওয়া উচিত সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। ডাম্পার ভাগাড় থেকে নোংরা তুলে জোড়া মন্দির হয়ে লক্ষ্মী সিনেমা মোড় চাদমারি রোড হয়ে বেরোচ্ছে। আর এই গোটা রুটে রাস্তায় নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। শুধু তাই নয় সে নোংরা থেকে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ।
এই তো অবস্থা এখন শহরের। আর এই নোংরার কারণে যখন তখন যে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু যে যার অঞ্চল পরিষ্কার রাখলেও এই রাস্তার নোংরা আবর্জনা দূরীকরণের দায়িত্ব কেউই নিতে চাইছে না। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন যে, এই সমস্যার কথা কাকে বলবো আমরা।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন যে এই ডাম্পার যাতায়াতের কারণে রাস্তার ধারের ড্রেন ভেঙে গেছে। আমরা থাকতে পারছি না দুর্গন্ধে। কিন্তু আমাদের কথা শোনার কেউ নেই। আর এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করছেন যে, আমরা রীতিমত ট্যাক্স প্রদান করি। শুধু তাই নয় আমরা পুরো নিয়ম যথাযথভাবে মেনে চলি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘর থেকে বেরোনোর জো নেই এই নোংরা আবর্জনা এবং দুর্গন্ধের কারণে।
এরকম অদ্ভুত একটি পরিস্থিতি চলছে বীজপুরে। কিন্তু শোনার কেউ নেই। বীজপুর কি চালিত হবে? এরকম পরিস্থিতি কি বজায় থাকবে? সমস্যার কি কোন সমাধান হবে না? আমাদের সংবাদ করার পরেই কি নগর প্রশাসনের চোখ খুলবে? তারা কি নিজে থেকে এই রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্ব নেবেন না? তারাও তো এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন, তাদের কি চোখে পড়ছে না? এদিকে গণেশ পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। আর হাতেগোনা কয়েকদিন বাদেই। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎস। যা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে কাঁচরাপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। আর এখন রাস্তার এই দশা। এইসব দেখার কেউ কি নেই?
অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া বিজেপি মন্ডল সভাপতি অমিত মন্ডল জানাচ্ছেন, এইসব হলো কামাই বাজির প্রক্রিয়া। যা হচ্ছে সব কামানোর জন্য। মানুষ মরে মরুক। তাতে শাসনের দায় কোথায়? এই দূষণের কারণে মানুষের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবুও ঘুষ নেই নগর প্রশাসনের।
অন্যদিকে সিপিএম নেতৃত্ব দাও জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে তারা খুব শীঘ্রই আন্দোলনে নামবেন।