কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় কর্মী নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক ঘোটলাঃশহরে শোরগোল

অবতক খবর,২৫ নভেম্বর: কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় কর্মী নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক ঘোটলা এবং দুর্নীতির কারণে কর্মী নিয়োগের জন্য যে ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছিল তা তো বাতিল করা হলোই, সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন জারি হয়ে গেল যে,আপাতত কর্মী নিয়োগ বন্ধ। ‌৩১শে মার্চের আগে কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় কোন কর্মী নিয়োগ করা যাবে না।

বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল কাঁচরাপাড়া পৌরসভা দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠছে। জানা গেছে, ‌এবার কর্মী নিয়োগের জন্য প্রায় ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। ‌সেটা ঝারাই বাছাই করে সাড়ে তিন হাজারের মত আবেদনপত্র গ্ৰাহ্য হয় এবং পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রায় ৩১৫ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তবে জানা গেছে, কর্মী নিয়োগের সংখ্যা মোট ৭৪ জন।

লকডাউনের প্রাক পর্বে ৩১৫ জনের মধ্যে ১৭৪ জনের ভাইবা পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ২৩ ও ২৪ নভেম্বর এই দুদিন দুই পর্যায়ে ২৫ জন ২৫ জন করে প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই পরীক্ষা যখন নেওয়া হচ্ছিল,এই পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন বিএলডি নিয়ন্ত্রিত এক এজেন্সি। ২৩ এবং ২৪ নভেম্বর যে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় তাতে চেয়ারপারসন,ইও,এফও, বর্তমান প্রশাসনিক কমিটিতে যারা রয়েছেন অর্থাৎ বাসনা বিশ্বাস, অশোক মন্ডল, মাখন সিনহা ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন এসডিওর প্রতিনিধি। পরবর্তীতে বিএলডি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইন্টারভিউর ব্যবস্থা ছিল।

পরবর্তীতে জানা যায় যে, এই সাক্ষাৎকারে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি হয়েছে। আরও জানা যায় যে, অদ্ভুতভাবে আরো প্রায় ৫০ জন প্রার্থীর নাম ঢুকে গিয়েছে। সূত্রের খবর তারা কেউ পরীক্ষায় বসেননি। আরও সূত্রের খবর,যে সমস্ত প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি দলভুক্ত বহু প্রার্থী এবং পৌর প্রশাসন ও পৌরপ্রধানের জানপহেছান আত্মীয় স্বজন। ‌এই সমস্ত অভিযোগ শেষ পর্যন্ত উচ্চমহলে জানানো হয়। অবশেষে এই নিয়োগ এবং এই পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ‌ইতিমধ্যে পৌরসভার ওয়েবসাইটে, পৌর সভার নোটিশ বোর্ডে, বিভিন্ন জায়গায় এই পরীক্ষা স্থগিতের নোটিফিকেশন যে জারি হয়েছে তা দেখা যায়।

উল্লেখ্য এই নিয়োগ বহাল রাখার বিষয়ে এক রাজ্যনেতার স্বীকৃতি থাকলেও জেলা নেতাদের সক্রিয় ভূমিকায় তার স্হগিত করতে বাধ্য হন পৌর কর্তৃপক্ষ। এই পরীক্ষায় দুর্নীতির বিষয়ে লকডাউনের আগেই এক কাউন্সিলর অত্যন্ত তৎপর হয়ে বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল হৈচৈ বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই উন্নয়নমূলক কাজ ছাড়া ৩১ মার্চ’ ২১ এর আগে কোনো কর্মী নিয়োগ করা যাবেনা বলে জানা গেছে।