অবতক খবর,১২ই জানুয়ারি: কাঁচরাপাড়া পৌরসভার আয়োজনে এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার যুব কল্যাণ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় বিবেক চেতনা উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হল। এরজন্য মূল কমিটিতে ছিলেন পৌর প্রধান সুদামা রায়, উপ পৌরপ্রধান মাখন সিনহা, যুব নেতা সুজিত দাস এবং মিন্টু সামন্ত।
ছয় দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতিমনস্ক করে তোলার জন্য এবং তাদের সাংস্কৃতিক চেতনা বিকাশে বসে আঁকো, বক্তৃতা, শোভাযাত্রা, প্রশ্নোত্তর, স্বামীজি সাজো বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপ্তি দিবস অর্থাৎ ১২ই জানুয়ারি কাঁপা মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে বিবেকানন্দের পূর্ণাবয়ব মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। উল্লেখ্য, গত বছরই এই মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। অনিবার্য কারণে সেটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে ঐ স্হলেরই সংলগ্ন অঞ্চল পুনরায় স্থাপন করা হয় এবছর। এটি উদ্বোধন করেন ব্যারাকপুর বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। সঙ্গে ছিলেন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এবং নারায়ণ গোস্বামী।
স্বামীজি বলেছিলেন জাতির স্বাস্থ্যই বড় সম্পদ। তিনি নিজে যোগব্যায়াম অনুশীলন করতেন,মল্লযুদ্ধ করতেন। তিনি বিশিষ্ট সংগীত-যণ্ত্রবাদকও ছিলেন। সেই সমস্ত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আজ কাঁচরাপাড়া পৌরভবন সংলগ্ন অঞ্চলে যোগব্যায়াম প্রদর্শনী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যন্ত্রবাদন অনুষ্ঠিত হয় এবং স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন বক্তারা। অনুষ্ঠানটি নিশ্চিত হয়ে উঠেছিল মনোগ্রাহী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরপ্রধান সুদামা রায়,উপ পৌরপ্রধান মাখন সিনহা, পার্ষদ সুভাষ চক্রবর্তী,অলোকময় লাহিড়ী ও অন্যান্যরা।
এদিন বিবেকানন্দকে বিষয় করে একটি পুস্তিকাও প্রকাশিত হয় এবং লেখকদের সংবর্ধিত করা হয়। উল্লেখ্য এদিনের অনুষ্ঠানে প্রায় দেড়শ শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সুন্দর সঞ্চালনা করেন পৌরসভার তত্ত্বাবধায়ক দেবাশিস রায়। তাঁর সঞ্চালনায় সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেকানন্দের চেতনা, তাঁর আদর্শকে প্রসার করার একটি উদ্যোগ দেখা যায়।