অবতক খবর,২ নভেম্বর: আজ কাঁচরাপাড়া টাউন কংগ্রেসের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল ডাঙ্গাপাড়া বাজারে। এই মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য, কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী,হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ,উপ পৌর প্রধান হিমানীশ ভট্টাচার্য্য, হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়ার দুই টাউন সভাপতি যথাক্রমে প্রবীর সরকার এবং খোকন তালুকদার সহ অন্যান্যরা।

জানা গেছে,এই বিজয়া সম্মিলনীতে কথা হয়েছিল প্রাক্তন পৌর প্রধান সুদামা রায়,প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান মাখন সিনহা, প্রাক্তন উপপৌর প্রধান ও টাউন সভাপতি সুভাষ চক্রবর্তী এবং বিশেষভাবে প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, তৃণমূলের পুরনো পোড়খাওয়া কর্মী অশোক কান্তি পাল সহ আরো অনেক পুরাতন নেতৃত্বকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু জানা গিয়েছে,পুরনো কর্মী হিসেবে কাঁচরাপাড়ার যুব সভাপতি সুজিত দাস আমন্ত্রণ পাননি।

বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু এই পুরানো নেতৃত্ব যাদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা হয়েছিল তাঁরা কেউই সেই সম্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেননি। উপরন্তু জানা গিয়েছে, তারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ যে, এই শেষ প্রান্তে এসে অর্থাৎ এতদিন তাঁদের কোনরকম সম্মান প্রদান করা হলো না,কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের কোনরকম ভাবে মর্যাদা দেওয়া হল না,অথচ শেষ মুহূর্তে তাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন, তাঁরা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। ফলত তাঁরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি।

পুরানো কর্মীদের মধ্যে অবশ্য দেখা গেল কয়েকজন গিয়েছিলেন। কিন্তু উল্লেখযোগ্য নেতৃত্বরা অনুপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সূচনা করছে কিনা বা তৃণমূল দল এই অঞ্চলে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে কিনা, এ ব্যাপারে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ এই সমস্ত আমন্ত্রিত নেতৃত্বরা যাঁদের অভ্যর্থনা জানানো হবে বলে কথা হয়েছিল তাঁরা কিন্তু সাংসদ অর্জুন সিং যখন শহরে আসেন তখন তাঁদের তাঁর সাথে দেখা যায়।