অবতক খবর,২১জুন: কাঁচরাপাড়া টাউন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাপস সিনহা। জেলা সভাপতি তাপস মজুমদার তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই কাঁচরাপাড়া টাউন কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে এমনিতেই কংগ্রেস কর্মীদের সংখ্যা খুবই কম। তারমধ্যেও এই গন্ডগোল বা এই দ্বন্দ্ব সাধারণ মানুষের মধ্যে দাগ কেটে যাচ্ছে। কাঁচরাপাড়ায় কংগ্রেসের যে সক্রিয় অবস্থা ছিল, বর্ষীয়ান নেতৃত্ব অমল সরকার সেটি যথাসাধ্য রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি প্রয়াত হবার পর দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস রাজনীতি আরও হ্রাসের মুখে। এইভাবে যদি এই অঞ্চলে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে থাকে তাহলে এখানে কংগ্রেসের রাজনীতি আর অবশিষ্ট থাকবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

তাপস সিনহা টাউন সভাপতি হওয়ায় রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, কাঁচরাপাড়া কংগ্রেসের যে মূলস্রোত,তারা প্রায় সকলেই তার সভাপতি পদের বিরোধিতা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অরুণ চৌধুরী, রয়েছেন শিবদাস চক্রবর্তী রয়েছেন শ্যামা ঘোষ, রয়েছেন সঞ্জয় ব্যানার্জী, বিকাশ মল্লিক,কৃষ্ণাদ্রি বিশ্বাস,মৃণাল কুমার ঘোষ,শিবশংকর ঘোষ প্রমুখ। তারা জানান যে,তারা তাপস সিনহার বিরোধিতা করেছন মূলত একটি কারণেই। কারণ তাপস সিনহা কোনদিনও সক্রিয়ভাবে কংগ্রেসের রাজনীতি করেননি এবং কোনরকম আন্দোলনে বা কোনরকম কংগ্রেসের কর্মসূচিতে তিনি নামেননি। অভিযোগ যে তার পিতা বদ্রী প্রসাদ সিনহা, তিনি কংগ্রেস করতেন। আর সেই সুবাদেই তিনি এই সুযোগটি পেয়েছেন। বদ্রী প্রসাদ সিনহা ছিলেন সোমেন মিত্রের অনুগামী। সোমেন মিত্র যখন তৃণমূলের ছিলেন তখন এই তাপস সিনহাও তৃণমূলে চলে যান। সোমেন মিত্র যখন কংগ্রেসে চলে আসেন তখন তাপস সিনহা আবার তার সঙ্গে কংগ্রেস করতে শুরু করেন। নিজেকে কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচয় দিতে থাকেন। যদিও তিনি কংগ্রেসের কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেননা।

আরো জানা গেছে যে, যারা বর্তমানে অন্যান্য পদে রয়েছেন, যারা বর্তমানে অতিসম্প্রতি বৃহস্পতিবারই পদ পেয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তার বিরোধিতা করছেন।

তারা জানাচ্ছেন যে,তারা আলাদা একটা বৈঠক করবেন। বৈঠক করে যদি প্রয়োজন মনে করেন তারা রাজ্যকে অভিযোগ জানাবেন। তারা এ-ও স্বীকার করেন যে বর্তমান জেলা সভাপতি তাপস মজুমদার তিনিও তাপস সিনহাকে পদ দিতে অস্বীকৃত ছিলেন।‌ কিন্তু কংগ্রেস বরিষ্ঠ নেতা সোমেন মিত্রের চাপে পড়ে তাপস সিনহাকে তিনি পদটি দিতে বাধ্য হয়েছেন।

তারা আরো জানান, সম্প্রতি দুই একদিনের মধ্যে তারা বৈঠক করবেন। তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। যদি না জানান তাহলে তারা অন্য পথ অবলম্বন করবেন। প্রয়োজনে তারা যে বর্তমানে পদ পেয়েছেন তার থেকেও তারা পদত্যাগ করতে পারেন।