অবতক খবর,২৬ অক্টোবর: কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চল গান্ধী মোড়ে গান্ধীজীর পূর্ণবয়ব মূর্তি রয়েছে। গতকাল ২৫শে অক্টোবর সান্ধ্যকালে সেই মূর্তির পাদদেশে গিয়ে দেখা যায় গান্ধীজীর মূর্তির পায়ের সামনে দুটি মদের বোতল রয়েছে এবং ওই বেদীস্থলের চারদিকে মদের বোতল জলের বোতল পড়ে রয়েছে। পাদদেশটি ঘেরা আছে সেখানে ঢোকার একটি দরজা রয়েছে। কিন্তু দরজাটি খোলা অবস্থায় রয়েছে। এই দরজাটি খোলা কেন বা এখানে তালা লাগানো হয় না কেন, তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। কাঁচরাপাড়া একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যপূর্ণ শহর। এই বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রথম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিপ্লবী রিভলবার মাস্টার বিপিনবিহারী গাঙ্গুলী। এই জনপদের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য আরো দুজন ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। তারা হলেন বিপ্লবী নিরঞ্জন সেনগুপ্ত এবং বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম। তাদের পদার্পণ ঘটেছিল এই কাঁচরাপাড়ায়। আরো উল্লেখযোগ্য জাতির জনক গান্ধীজি এই কাঁচরাপাড়ায় পদার্পণ করেছিলেন ১৯৪৭ সালের ১৯ আগস্ট। কাঁচরাপাড়ায় যে দাঙ্গা হয়েছিল শান্তি কমিটির স্থাপনের উদ্দেশ্যে তিনি কাঁচরাপাড়ায় এসেছিলেন এবং স্পল্ডিং মাঠে ভাষণ দিয়ে গিয়েছিলেন। এমন একটি জনপদে গান্ধিজীকে এভাবে কলঙ্কিত অপমানিত করার অধিকার দিয়েছে কারা? এতে শুধু গান্ধীজী নয় এই কাঁচরাপাড়া অঞ্চলটির যে পরিচিতি ছিল তার নামেও কলঙ্ক লেপন হয়েছে। কাঁচরাপাড়ায় এক সময়ে এশিয়ার বৃহত্তম রেল কারখানাটি অবস্থিত। শ্রমিক অধ্যুষিত অঞ্চল এটি। এই ঘটনায় এই অঞ্চলের নিশ্চিত মর্যাদা হানি হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য এই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত পুলিশ পেট্রোলিং চলে এবং পুজোর এই কদিন পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে একদম মূর্তিটির সামনে।

এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো? কেন ঘটলো? নগর প্রশাসন কি এর কোনো সদুত্তর দেবে?