অবতক খবর,১৩ জানুয়ারি: কাঁচরাপাড়া পৌরাঞ্চলে ব্যবসায়ীদের দায়িত্বে যারা রয়েছেন প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা। কাঁচরাপাড়া পৌরসভার যেকোন মিটিং-এ উপস্থিত থাকেন ব্যবসায়ী সমিতির প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারিরা।

এখন এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তারা কি আদৌ ব্যবসায়ী সমিতির প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারী, নাকি কোন নির্দিষ্ট দলের তাবেদারী তারা করেন? কয়েকদিন ধরে করোনার বিধিনিষেধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে নাটকীয় খেলা চলল ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে, যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হল তাতে কি ওই সেক্রেটারি এবং প্রেসিডেন্টদের মনে হলো না যে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের জানানো দরকার বা তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার!

কিন্তু তারা সম্পূর্ণ নিজেদের মতো করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করল। আসলে তারা এই ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের কোন গুরুত্বই দেন না।

এখন এই নিয়েই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, মিটিং সংক্রান্ত কোনো চিঠি পত্র বা তাদের কোনো নোটিশ দিয়ে জানানো হয়নি প্রশাসনের পক্ষে। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের কোন গুরুত্ব না দিয়ে তারাই এখন মাতব্বর হয়ে বসে আছেন। বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হয় তাতে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের কোন মতামত রয়েছে কিনা সেইদিকে কোন আমোল দেন না তারা।

এই নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, এই সবকিছুর মাঝে পিষে মরছেন এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। পেটে টান পড়ছে তাদেরই। মিটিং-এ কি সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আবার কি সিদ্ধান্ত বাতিল হচ্ছে,সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না এই প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারিরা। সবকিছুই তারা মৌখিকভাবে করছেন। মৌখিকভাবে তারা সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন,আবার মৌখিকভাবে সবকিছু বাতিল করছেন। মুখে বলছেন ওমুক সিদ্ধান্ত তারা মানবে না, তারা ডেপুটেশন দেবেন,বিক্ষোভ করবেন। এইভাবে কি চলতে পারে? লিখিত কোনো কিছুই নেই। তারা কয়েকজন মিলে যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, মুখে মুখে যা কথা হচ্ছে সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হচ্ছে। এই অবস্থা এখন কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীদের।

এই ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন, এই যে ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী বা প্রেসিডেন্ট, আসলে তাদের কোনো গুরুত্ব বা দায়িত্ব কোনকিছুই নেই। তাদের যদি এতোটুকু দায়িত্ববোধ থাকতো তাহলে সমস্ত বৈঠক কিংবা বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের লিখিতভাবে নোটিশ দিয়ে জানানো হতো। আসলে তারা কোন নিয়মনীতিই জানেন না। আসলে ব্যবসায়ী সমিতির এই সেক্রেটারি প্রেসিডেন্টরা নাম মাত্রই ওই পদে রয়েছেন।

এই সকল অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাঁচরাপাড়া শহরের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।