অবতক খবর,৩১মে: কাঁচরাপাড়া বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এই ব্যবসাকেন্দ্রটির সঙ্গে তিনটি জেলা জড়িত। উত্তর চব্বিশ পরগণা, নদীয়া এবং হুগলি জেলা। দূরদূরান্ত থেকে এইখানে সওদা করতে আসেন গ্রাহকেরা।
কাঁচরাপাড়ার চৈত্র সেল একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। এখানে রয়েছে হকার্স কর্নার মার্কেট, আনন্দবাজার মার্কেট, সুবোধ রায় মিনি মার্কেট, বিবেকানন্দ মার্কেট। এই সমস্ত মার্কেট থেকে সাধারণ মানুষেরা, অল্প আয়ের মানুষেরা জিনিসপত্র কেনেন। ফলত এটি একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য কেন্দ্র।
সম্প্রতি এখানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দোকানপাট খোলা নিয়ে এক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এখানে বোঝা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঐক্য নেই। এই ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। ফলে কাঁচরাপাড়ার যে একটা বাণিজ্যিক ঐতিহ্য, কাঁচরাপাড়ার যে একটা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সেটি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতারা। তাই আজকের যে প্রতিবাদ হওয়ার কথা ছিল সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন কাঁচরাপাড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খোকন তালুকদার।
তিনি গতকাল ৩ নং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক এবং দু’জন উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়ীকে ডেকে একটি আলোচনার আয়োজন করেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, কাঁচরাপাড়ার সুনাম রক্ষার্থে কোনরকম প্রতিবাদ এখন করা যাবে না। ৩ নং ইউনিটের কর্ণধারদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আপনারা ৩১মে ঘোষিত প্রতিবাদের কোন মাইকিং বা প্রচার করবেন না। এটি বিশ্লেষণ করে কার দোষ কার গুণ আমি বলছি না,এতে কাঁচরাপাড়ার সুনাম থাকছে না। আপনারা অবশ্যই আপনাদের এই প্রতিবাদ স্থগিত রাখুন। এখন লকডাউনের পিরিয়ড চলছে। করোনার বিষয়ে মানুষ সন্ত্রস্ত। তার উপর রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্ফানের প্রতিক্রিয়া। সুতরাং এই অবস্থায় আপনারা নিজেদের মধ্যে বিতর্ক না মিটিয়ে সেটাকে আরো জনসাধারণের সামনে তুলে আনছেন এটা সঠিক হচ্ছে না। কাঁচরাপাড়ার সুনাম রক্ষার্থে, ইতিমধ্যে এই সুনাম অনেকটাই বিঘ্নিত হয়েছে। কারণ পোর্টাল মিডিয়াগুলি যে সংবাদ প্রচার করেছে এবং কয়েকটি মিডিয়া যথার্থ দায়িত্ব নিয়ে প্রচার করেছে এবং কাঁচরাপাড়ার সুনাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তারা সঠিক কাজ করেছে বলে আমরা মনে করি। সুতরাং এটি যাতে আর প্রচার না হয়, বাইরের মানুষ কাঁচরাপাড়াকে যাতে অন্য দৃষ্টিতে না দেখে সেজন্য আপনাদের কাছে আবেদন ও অনুরোধ রাখছি, আপনারা ৩১ মে-র প্রতিবাদ থেকে বিরত থাকুন। আর এটার সঙ্গে আপনাদেরই স্বার্থ জড়িত। কারণ বাইরের থেকে গ্রাহকরা আসেন,তারা যদি কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীদের এই অবস্থাটা জানতে পারেন, ফলতঃ আপনাদের ব্যবসাই মার খাবে বলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে ভাববেন, অনুধাবন করবেন এবং আপনাদের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকবেন।
এদিকে সভাপতি গোপাল পাল জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণে আমরা আজকের প্রতিবাদ স্থগিত রাখছি। এ বিষয়ে বেলা বারোটায় বিস্তারিত আলোচনার পর সম্পাদক গোপাল দাস প্রতিবাদ স্থগিত রাখার কারণ ব্যাখ্যা করবেন।









