অবতক খবর,৫ মে: কাঁচরাপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের দোকানপাট খোলা যাবে কিনা এ বিষয়ে সবিশেষ জানতে ১ নম্বর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কানু মজুমদার এবং অরুণ আগরওয়াল ও বীজপুর থানা প্রশাসন, বিশেষ করে আইসি কৃষ্ণেন্দু ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সম্পাদক মজুমদার জানান,তাদের সঙ্গে আইসির বিশদ আলোচনা হয়েছে।‌ আইসি জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা রেড জোন। আর কাঁচরাপাড়া তার মধ্যে পড়ে। কিন্তু আপনারা দোকানপাট খুলতে পারেন। তবে তার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। ‌ কাঁচরাপাড়া কনটেইনমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ‌যদি আপনারা দোকানেই করোনা সংক্রান্ত বিধিগুলি যথাযথভাবে মেনে চলেন, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আপনাদের, ক্রেতাদের স্যানিটেশনের দায়িত্ব নিতে হবে, তার পরেই তারা দোকানে ঢুকতে পারবেন। কারণ খেয়াল রাখতে হবে যে, কাঁচরাপাড়া যেন কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত না হয়ে যায়। তবে হকার্স কর্ণার মার্কেট, আনন্দবাজার মার্কেট, বিবেকানন্দ মার্কেট খোলা যাবে না। ‌কারণ এইসব মার্কেটে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেইনটেন করা যাবে না। ফুটপাতে যারা বসছেন, সেই সমস্ত দোকানপাট গুলিও খোলা যাবে না। মেইন রোডের উপর যে সমস্ত দোকানগুলি রয়েছে, সেগুলি আপনারা খুলতে পারেন,তবে নিজ দায়িত্বে খুলতে হবে। প্রতিমুহূর্তে মনে রাখবেন যে, কাঁচরাপাড়া যেন কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত না হয়।

এই সমস্ত বিশদভাবে জানার পর ব্যবসায়ী দুই প্রতিনিধি ঠিক করেন যে তারা দোকানপাট খুলবেন কিনা,সে বিষয়ে আজ কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে সন্ধ্যায় আলোচনার পর সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তারাও চান না যে কাঁচরাপাড়া কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত হোক।

অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, কাঁচরাপাড়ায় ইতিমধ্যেই আজ সকাল থেকেই কিছু দোকানপাট যেমন ইলেকট্রনিক্সের দোকান, কিছু অপটিক্যালের দোকান খুলে গেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি আছে কিনা সেটা জানা নেই আমাদের।