অবতক খবর,২০ এপ্রিল: এখন গোটা বিশ্ব লড়াই করছে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে। কার্যত স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। ভারত জুড়ে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কোন অবস্থাতেই মদের দোকান খোলা যাবে না। কিন্তু মদ না পেয়ে মদপ্রেমীদের উন্মাদের মত অবস্থা। তারা চারিদিকে খোঁজখবর রাখছেন যে কোথা থেকে একটু মদ পাওয়া যায়। আবার এও অভিযোগ হয়ে উঠেছে যে টাকা দিয়েও মদ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ অনলাইনে তাদের টাকাও গেছে আর মদেরও পাত্তা নেই। এই হচ্ছে মদের নেশা। তবুও তারা হাল ছাড়েনি।

সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে যে, গুজবে কান দেবেন না। কিন্তু সূরাপ্রেমীরা গুজবে কানও দিচ্ছে আর টাকাও খোয়াচ্ছে। অর্থাৎ তারা দুভাবেই ঠকছে। আমরা এখানে কথা বলেছি বীজপুরে কিছু সুরাপ্রেমীর সঙ্গে। কিছুদিন আগে কল্যাণীতে একটা মদের দোকান খুলেছে এমনই একটা গুজব রটেছিল। মদ পিপাসু মানুষরা চলে গিয়েছিল সেখানে মদ সংগ্রহ করতে।

তারা সেখানে গেছে ঠিকই, কিন্তু মদ তো কপালে জোটেইনি, উল্টে কপালে জুটেছে পুলিশের লাঠির বারি। অন্যদিকে দেখা গেছে ফেসবুকে একটি নাম্বার ছড়ানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল মোটামুটি ৩০০ টাকা খরচ করলেই পাওয়া যাবে মদ এবং আরো ১০০ টাকা খরচ করলে সেই মদ বাড়িতেই পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ মোট ৪০০ টাকা খরচ করলেই বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন নেশাতরল, মদপিপাসুরা তাদের তৃষ্ণা মেটাতে পারবেন। কিন্তু যারা প্রকৃতই মদপ্রেমী তাদের কাছে এইটুকু মদে কিছুই হয় না। কিন্তু তারা তাতেও রাজি হয়েছিলেন। অবশেষে দেখা গেছে, শুধু টাকা খোয়াতে হয়েছে তাদের। তার বদলে কিছুই পাননি তারা। এমনই এক পরিস্থিতি চলছে গোটা বীজপুর জুড়ে।

কিন্তু এখন এই সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে কাঁপা মোড় থেকে একটু এগোলেই পাওয়া যাচ্ছে দু প্যাকেট বিরিয়ানি এবং ৩০ শতাংশ কর দিয়ে এক বোতল মদ। মনে করা যাক একটি মদের বোতলের দাম ৫০০ টাকা। তার ওপর ৩০ শতাংশ কর। অর্থাৎ মদের বোতলের দাম গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৬৫০ টাকা। দু প্যাকেট বিরিয়ানির যা দাম হয় তাই এবং অতিরিক্ত ১০০ টাকা ডেলিভারি চার্জ। সুরাপ্রেমীরা এখন এই পাল্লায় পড়েছেন। বিরিয়ানি সাথে সাথে গ্যাঁটের করি খোয়ালে মদও পাচ্ছে।

তবে এখন প্রশ্ন যে, যখন গোটা রাজ্যে মদের দোকানগুলি বন্ধ, সেখানে এই মদ ব্যবসায়ীরা মদ ব্যবসা কিভাবে চালু করল? তাহলে কি কারো সাথে এদের কোন লেনদেনের রফা হয়েছে? নাকি প্রশাসনিকভাবে সেটিং করে এই মদ ব্যবসায়ীরা দেদার ব্যবসা চালাচ্ছে? আর এইসব যদি না হয় তাহলে তো এই ব্যবসা চলতে পারত না! কারণ এই অর্ডার নেওয়া হচ্ছে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। আর ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে বিকেল ৬টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কারোর মদতেই চলছে এই ব্যবসা।










