অবতক খবর,১৮ এপ্রিল: লকডাউন চলছে। মদ্যপায়ীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। এটা বোঝা যাচ্ছে। যারা নিয়মিত মদ পান করেন তাদের এক অস্বস্তিকর অবস্থা। রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে এই নিয়ে। কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে,কলেজ মাঠ সংলগ্ন অঞ্চলে লকডাউনের অবসর কাটানোর জন্য জুয়ায় লুডো চলছে এবং যেহেতু মদ পাওয়া যাচ্ছে না,তাই তাড়ির আসর বসে যাচ্ছে। মন্ডল বাজারের ভিতরে কোথাও কোথাও এই তাড়ির আসর চলছে। এছাড়াও আমাদের কাছে খবর, তাড়ির আসর বসছে হালিশহর গঙ্গা সংলগ্ন শহীদ পল্লীতে।

এদিকে উল্লেখযোগ্য কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে গতকাল ১৭ এপ্রিল কল্যাণী। গুজব রটে যায় কল্যাণী ৩ নং বাজার সংলগ্ন একটি বিদেশী মদের দোকান থেকে মদ বিক্রি হচ্ছে। এটি নিছক গুজবই ছিল। খবরে প্রকাশ এক যুবক স্কুটি করে এসে মদ পাওয়া যাবে এই কথা জানান এবং যারা যারা মদ কিনতে চান একটা কাগজে তাদের তালিকা তৈরি করতে থাকেন। এই সংবাদ পেয়ে ওই অঞ্চলে ব্যাপক ভিড় জমে যায়। ক্রেতার সংখ্যা এতই বেশি হয়ে পড়ে যে, ভিড় সামলানো দায় হয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তা সত্ত্বেও অনেকে বিশ্বাস হারাতে রাজি হননি। এদিক ওদিক লুকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন,যদি মদ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে লকডাউনে মদের দোকান বন্ধ থাকলেও যে সব দোকানের দুটি দরজা আছে, একটি সামনের দরজা এবং একটি পেছনের দরজা, তাদেরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মদ হোম ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বোঝা যাচ্ছে এই করোনা বিপর্যয়ে কারণবারির চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে।

অন্যদিকে আর একটি খবর পাওয়া গেছে, ফেসবুকে একটি নাম্বার ছড়িয়ে পড়েছিল যে, এখানে যোগাযোগ করে অনলাইনে টাকা দিলে মদ পাওয়া যাবে। সেই অনুযায়ী বহু মদ্যপায়ী অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন। তারা মনে করেছিলেন ৩০০-৪০০ টাকা দিলে যদি মদ পাওয়া যায় আর ১০০ টাকা ডেলিভারি খরচ নেয়, তাতে তো আপত্তির কিছু থাকতে পারে না। তারা অনেক আশ্বস্ত হয়ে অনলাইনে টাকা দিয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে মদ এবং মানি দুটোই গায়েব হয়ে যায়।