পদ পেয়েই কমিটিতে ব্যাপক রদবদল করলেন হরিণঘাটার ব্লক সভাপতি, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

অবতক খবর,১৫ মার্চ : হরিণঘাটা বিধানসভা ফতেপুর অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে মাত্রা পেয়েছে, কান পাকলেই শোনা যাচ্ছে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একটু একটু করে মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি নতুন জেলা সভাপতি করা হয়েছে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার আইএনটিপিইউসির প্রাক্তন সভাপতি দেবাশীষ গাঙ্গুলীকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর একাধিক জায়গায় নতুন করে সংগঠনের কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন টাউন ব্লকে ও পরিবর্তন হয়েছে। নতুন পুরনো সমন্বয়েকে সামনে রেখে দায়িত্ব পেয়েছে অনেককেই। ব্যতিক্রম নেই হরিণঘাটাতেও। এই বিধানসভার অন্তর্গত হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে নদিয়া জেলা পূর্ত ও পরিবহন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথকে। আনা হয়েছে নগরউখড়া টু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা নারায়ণ চন্দ্র দাসকে। এদিকে নারায়ণ চন্দ্র দাস দায়িত্ব পাওয়ার পরেই নতুন করে ব্লক কমিটি ও অঞ্চল কমিটিতেও রদবদল এনেছেন। আর এতেই ক্ষুব্ধ দলের একাংশ।

পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ফতেপুর অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন অঞ্চল সভাপতি মাওলা বক্স মন্ডল যিনি হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী উন্নয়ন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ। এরই মধ্যে ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি টেন্ডার নিয়ে প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতি এবং নেতৃত্বের মধ্যে গন্ডগোল হয় যার জেরি এই অতর্কিত হামলা এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশে আসে।

পাশাপাশি, বর্তমান সভাপতির দাবি এলাকার একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত প্রাক্তন কমিটি। রশিদ শেখের এলাকায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র মেলা নিয়ে বারবার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের একাংশ কে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই গোটা ঘটনায় প্রশাসনকেই দায়ী করলেন হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দাস।