১০ মার্চ,১৯৭১ বিদ্রোহী কবি আশুতোষ মজূমদারকে গুলি করে খুন যাদবপুর থানায়
কবির রক্ত
তমাল সাহা
স্পষ্টতই নকশাল করতো আশুতোষ
এবং যথার্থই কবিতা লিখতো।
কবিরা বস্তুতই এতো বিদ্রোহী হয় কেন
তার বস্তুগত সংজ্ঞা আমি পাইনি এখনো,
মেলানোর চেষ্টা করেছি অনেক
এবং একদম যে সফল হয়নি তা-ও নয়।
‘শব্দ’ শব্দটির অভিঘাত
আমাকে কিছুটা এগিয়ে দিয়েছিল।
কবিতায় ব্যবহৃত হয় শব্দ
বারুদ বিস্ফোরণেও শব্দের গর্জন
এই দুই শব্দের সমন্বয় ঘটাতে গিয়ে আশুতোষরা অনিবার্যভাবে বিদ্রোহী হয়ে যায়।
কবিরাই চেনে বধ্যভূমি
মৃত্যু গভীর অরণ্যের ভেতর দিয়ে তারা হেঁটে যায়
সংক্ষুব্ধ সমুদ্রের কাছে গতিময়তার শিক্ষা নিয়ে আশুতোষরাও গুলি খেয়ে কবিতা হয়ে যায়…
তোমরা কি শুনতে পাচ্ছ,
তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না?
রক্তে ভাসে লক আপ
রক্তে ভাসে থানা!