সকালে উঠিয়া স্ত্রী কহিলেন, আজ সোমবার লিঙ্গরাজের জন্মদিন। আজ আর হাবিজাবি লিখিও না। একটু ধর্মকথা শুনাইও। আমিও স্ত্রী বশীভূত মানে স্ত্রৈণ হইয়া লিখিয়া ফেলিলাম—

কথোপকথন
তমাল সাহা

রথ মধ্যে হতাশ ধনুর্ধর পার্থ-অর্জুন শিরে কর স্থাপন করিয়া অকস্মাৎ উপবিষ্ট হইয়া পড়িলেন।
করজোড়ে কহিলেন, হে শ্রীকৃষ্ণ জন্ম-মৃত্যু-কর্মফল শ্রবণ করাইলে, অধিগত হইল সম্পূর্ণ গীতা।
তবে মিতা! কেন কহ নাই এতদিন আমাকে জবাবদিহিখানা ও জন আদালত দপ্তরে বারংবার হাজিরা দিতে হইবে?

শ্রীকৃষ্ণ কহে, হে সখা, পার্থ ওরফে অর্জুন! তুমি তো তখন অর্থলোভী ছিলে না, ছিলে না ক্ষমতালোভী।
ছিল তোমার উন্মুক্ত গাত্র। এমনকি পোশাকে পকেটও ছিল না।
তাছাড়া তখন ছিল না কোনো আইন-আদালত দপ্তর।
সুদর্শন চক্র কৌমদকী পাঞ্চজন্য লীলা কমল হস্তে থাকিলেও
আমি তো উপলব্ধি করিতেই পারি নাই পরজনমে তুমি হইবে এতো খচ্চর!