অবতক খবর,৭ জুন: কঙ্গনাকে চড় মারার পর থেকেই কুলবিন্দরকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সমাজমাধ্যমেও তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। কেউ তাঁর সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন, আবার জনপ্রতিনিধিকে চড় মারার জন্য তাঁকে দুষছেন কেউ কেউ।সদ্য লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া কঙ্গনা রানাউতকে সপাটে চড় মেড়ে দেশ জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন কুলবিন্দর কউর।

তবে ভাবী সাংসদ তথা অভিনেত্রীকে চড় মারার খেসারতও দিতে হয়েছে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে। সূত্রের খবর, চড়কাণ্ডে তাঁকে প্রথমে সাসপেন্ড করা হলেও পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কুলবিন্দর পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির বাসিন্দা
২০০৯ সালে সিআইএসএফ-এ যোগ দেন কুলবিন্দর। বিগত তিন বছর ধরে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্মরত তিনি।
জানা যায় ,বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন কঙ্গনা। বিকেলে ভিস্তারার বিমান ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। মোবাইল পরীক্ষার জন্য একটি ট্রে-তে ফোনটি রাখতে বলা হলে কঙ্গনা রাজি হননি। সেখানে কুলবিন্দরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর।

তখনই কুলবিন্দর সপাটে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। এর পরেই কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সাসপেন্ডও করা হয় ওই কর্মীকে। কিন্তু কেন কুলবিন্দর চড় মারলেন অভিনেত্রীকে? তার উত্তর দিয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ান নিজেই।

কুলবিন্দর জানান, কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনার একটি মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। বিমানবন্দরে তাঁকে দেখে তাই তাঁর মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছা করেই কঙ্গনাকে থাপ্পড় মেরেছেন বলে জানান তিনি।অভিযুক্ত সিআইএসএফ কনস্টেবলের দাবি, টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করার কথা বলে কৃষকদের অপমান করেছেন কঙ্গনা। সেই কারণেই তিনি তাঁকে সামনে পেয়ে থাপ্পড় মেরেছেন।

সূত্রের খবর ,কার্যরত অবস্থায় তাকে কখনও তদন্তের মুখে পড়তে হয়নি তবে এই প্রথমবার কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনায় চর্চিত তিনি ।