অবতক খবর,২২ এপ্রিল: একাধিক দুর্নীতি রয়েছে শিক্ষা দপ্তরে, শিক্ষা দপ্তরের বেশিরভাগ এখন জেল খাটছেন। আর এই দুর্নীতির রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে। এদিন নদীয়ার জেলাশাসক দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে এসএসসি প্যানেল বাতিল নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের দুই সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদিক এবং অলকেশ দাস। এবারের লোকসভা নির্বাচনে নদীয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে সি পিআই রয়েছে অলকেশ দাস।

অন্যদিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম সাদি। প্রধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল এবং বিজেপির সঙ্গে সমানভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এদিন নদীয়ার জেলাশাসন দপ্তরে জেলাশাসক এস অরুন প্রসাদের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এস এম সাদি।

অন্যদিকে একই সময়ে কৃষ্ণনগর মহাকুমা শাসকের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী অলকেশ দাস। তাদের এই মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে জেলা থেকে প্রচুর কর্মী সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে এই মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে প্রার্থী এস এম সাথি বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূল দুটো দলই কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত। বিজেপি গোটা দেশের সর্বনাশ করছে অন্যদিকে তৃণমূল গোটা রাজ্যের সর্বনাশ করছে।

আমাদের প্রচারের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল মেহনতি মানুষের জন্য। যারা সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমিক তাদের সমর্থনে লড়াই। আর এ লড়াইয়ে আমাদের জয় হবে।
আদালতের নির্দেশে এসএসসির চাকরি তালিকা বাতিল প্রসঙ্গে অলকেশ দাস বলেন, এর উত্তর মমতা ব্যানার্জিকে দিতে হবে। ২০১৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছিল লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই টাকা গেল কোথায় তৃণমূলকে জবাব দিতে হবে।