অবতক খবর,৪ ডিসেম্বর,নববারাকপুর : গত ২৬ নভেম্বর রাতে নিউ বারাকপুর পুরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কোদালিয়া বারোবিঘা চাষী ব্লকে কালী বুড়ির শান্তি হরি মন্দিরের সামনে প্রতিবেশী বিজন বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী কমল মজুমদার ওরফে লম্বু কালা।
গলির মধ্যে প্রায় দশ পনেরো মিনিট পড়ে থাকা সত্ত্বেও কালার ভয়ে কেউ আহত বিজন বিশ্বাস কে তুলতে সাহস পাচ্ছিলেন না। চৈতন্য ঞ্জানহীন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন বিজন বিশ্বাস। কাটারির কোপ পরেছিল তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু বিশ্বাসের ঘাড়ে ওপিঠেও। স্বামীর প্রাণ বাঁচানোর আকুতি বিফলে যেতে বসেছিল। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির নিউ বারাকপুর থানার বড় বাবু ।কিন্তু বিজনের শোচনীয় অবস্থা দেখে তাঁর প্রাণ বাঁচানোকেই প্রথম গুরুত্ব দেয় পুলিশ।
পুরসভার অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে এবং পুরপ্রধানের যোগাযোগের মাধ্যমে তড়িঘড়ি মৃতপ্রায় বিজনকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর চিরুনি তল্লাশে নামে থানার আইসি সুমিত কুমার বৈদ্য ও এসিপি ঘোলা তনয় চ্যাটার্জি। কিন্তু গা ঢাকা দেয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী কমল মজুমদার। পুলিশ ও পুরসভার তৎপরতার কারনে একপ্রকার প্রাণে বেঁচে যান বিজন বিশ্বাস। প্রায় টানা চব্বিশ ঘন্টা অচৈতন্য থাকার পরে তার ঞ্জান ফেরে। এরপর ঐ রাতেই কমলের যাবতীয় আত্মীয় ও অন্যান্য জায়গায় হানা দেয় পুলিশ।
অবশেষে ২রা ডিসেম্বর রাতে পুলিশ হানায় গ্রেপ্তার হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী কমল মজুমদার। যার নামে হুমকি তোলাবাজি মারধর ভয় ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদির একাধিক অভিযোগ রয়েছ। বিগত কয়েক বছর আগে পর্যন্ত তার দাপটে পুরসভার ২০ নং ওয়ার্ডে বারোবিঘা গুলকারখানা এলাকায় অলি গলিতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা দুষ্কর হয়ে পড়ত। পুলিশ সূত্রে খবর পুলিশের তাড়া খেয়ে বিভিন্ন রেলওয়ে প্লাটফর্মে লুকিয়ে চুকিয়ে দিন কাটাচ্ছিল কমল মজুমদার ।তদন্তের স্বার্থে এবং ঘটনার পুন:গঠনের জন্য মঙ্গলবার সকালে দুষ্কৃতীকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করে হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। কমল মজুমদার গ্রেপ্তার হওয়াতে এলাকাবাসী অনেকটাই ভয় মুক্ত এবং আনন্দিত।
২০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা অরিন্দম আচার্য বলেন দুষ্কৃতী গ্রেফতারে থানার পুলিশি তৎপরতায় প্রশাসন ও এসিপি ঘোলার আধিকারিক দের কৃতজ্ঞতা। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশি তৎপরতায় প্রাণে বেঁচেছেন দম্পতি পরিবার।