অবতক খবর,১০ জুন: এবার লোকসভা ভোটের পর ২১২টি পুরসভায় এগিয়ে গেল গেরুয়া শিবির ।

লোকসভা ভোটের ফলাফল পুরসভাওয়াড়ি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে,বিজেপি
এবং তৃণমূলের ব্যবধান চোখে পড়ার মত । বাংলার ১২১টি পুরসভার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৯টি পুরসভা এলাকায়। ধুলিয়ান এবং বহরমপুর পুরসভায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বাকি ৫১টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।গ্রামীণ ভোটে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রভাব বিস্তার করেছেন বিজেপি এমনটাই সূত্রের খবর ।

লোকসভা ভোটের প্রাক্কালেই রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল-বিরোধিতার ঘটনাক্রম দেখা গিয়েছিল। চাকরি বাতিল থেকে বিবিধ দুর্নীতির অভিযোগের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল, লোকসভা ভোটে এর কতটা প্রভাব পড়বে? সার্বিক ভাবে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে ভোট এবং আসন দুই-ই বেড়েছে তৃণমূলের। সেই অর্থে নিয়োগ দুর্নীতি বা ওই সংক্রান্ত বিষয়গুলির কোনও প্রভাব পড়েনি। কিন্তু গভীরে নিবিড়ে গিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, পুর এলাকায় সমর্থন আলগা হয়েছে তৃণমূলের। যদিও গ্রামীণ এলাকার বাড়তি সমর্থন সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে দিয়েছে।

সূত্রের খবর ,লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীরা জানান তারা একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেছেন গ্রামে না-হলেও শহরাঞ্চলে নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ‘কুপ্রভাব’ ফেলেছে। তারা বলেন দেশের মানুষ ভাল জিনিসটা বোঝেন তাই তারা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদিকেই দেখতে চান ,আর যারা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান তাদের অন্তত কোনও ভাতা দিয়ে কেনা যাবে না ।আর তা প্রমান করে দিয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির ৫০%বেশি ভোট এগিয়ে থাকা ২০২৬সালের আগে এমন একটি বার্তা শাসকদলের কাছে খুবই যন্ত্রনার ।

তবে শহুরে অঞ্চলে সবুজ শিবিরের থেকে গেরুয়া শিবিরের এগিয়ে থাকা এর নির্দিষ্ট কোনও বর্ণনার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা কখনোই সম্বভ নয়
কারণ কখনও বা এগিয়ে এনডিএ আবার কখনও এগিয়ে ইন্ডিয়া সাম্যের জোট ও শক্তি দুই পক্ষের বেশি কখনও ক্ষয় হয়েছে কখনও বা বেড়েছে
একমাত্র সংখ্যালঘু ভোটের ক্ষেত্রে এমন কোনও রদবদল হয়নি বলে খবর ।