অবতক খবর,১৭ জুন: বীজপুরের সর্বজন পরিচিত একটি নাম মলয় ঘোষ। তিনি তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার বীজপুরের বুকে শিরোনামে উঠে এসেছেন। তিনি তৃণমূল দলের একজন অন্যতম কর্মী। কিন্তু শুধু দলীয় কর্মী হিসেবে তাঁর কর্মকাণ্ড তথা জনসেবা থেমে থাকেনি। বরং দলের উর্ধ্বে উঠে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছেন মানব সেবায়। আর সেই কারণেই আজ তাঁর নাম কাঁচরাপাড়ার মানুষের মুখে মুখে। তিনি এই অঞ্চলের মানুষের সেবায় সবসময় নিয়োজিত থাকেন।

আমফান এই রাজ্যে তার থাবা বসিয়েছে প্রায় মাসখানেকের বেশি। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি এই রাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষ। বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জে যায়। সেই দলে ছিলেন কাঁচরাপাড়ার সমাজসেবী মলয় ঘোষ। সেখানে গিয়ে তারা ত্রাণ সামগ্রী দেন এবং সেখানকার মানুষের পরিস্থিতি দেখে তিনি ফিরে আসেন। কিন্তু তিনি ভুলতে পারেননি তাদের কষ্ট।

আর সেই কারণেই আজ তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী, জামাকাপড়, ওষুধপত্র নিয়ে পৌঁছে যান হিঙ্গলগঞ্জে। বিগত দিনে তিনি যখন সেখানে গিয়েছিলেন তখন তিনি প্রত্যক্ষ করেন যে, সেখানে অন্যান্য সকল সমস্যার পাশাপাশি সবথেকে বড় সমস্যা হল সেখানে কেউ এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ হলে চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই,নেই কোন ডাক্তার। তাই তিনি আজ এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে কলকাতা পিজি হাসপাতালের নামকরা বড় বড় ডাক্তারদের নিয়ে গিয়ে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেন। আর সেই মেডিক্যাল ক্যাম্পে আজ প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। খাদ্য সামগ্রী, জামাকাপড়, ওষুধপত্রের পাশাপাশি তিনি সেখানকার মানুষের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থাটি করেন।

এ প্রসঙ্গে মলয় বাবুর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি প্রথমেই বলেন,’দেখুন,আমি প্রচারের আলোয় আসতে চাই না। আমি একজন মানুষ,আর আমি আমার মনুষ্য ধর্ম পালন করছি। বিগত দিনে যখন আমি আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেখানে যাই, গিয়ে দেখি সেখানে কোন ডাক্তার নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি,এই করোনা পরিস্থিতিতে কোন ডাক্তারই সেখানে পরিষেবা দিতে চাইছেন না। যা আমাকে অত্যন্ত ভাবায়। এই পরিস্থিতিতে সেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চিকিৎসার। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই যে ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি আমরা সেখানে মেডিক্যাল ক্যাম্প করব। কারণ এইরকম একটি জায়গায় জরুরি পরিষেবা অত্যন্ত প্রয়োজন। সবার উপরে মানুষ সত্য। আর আমি চিরকাল মানুষের সেবাই করতে চাই।’