অবতক খবর,১৯ জানুয়ারি,হুগলি: এবার থেকে জল খেতে গেলে লাগতে পারে টাকা ! এমনই আতঙ্কে ভুগছেন হুগলির কোন্নগরের মানুষজন। আতঙ্কে ভোগার কারন ও রয়েছে যথেষ্ট কারণ বাড়ির কলের মাথায় বসেছে মিটার ! এবার থেকে জল ব্যবহার করতে হবে মেপে ঝুপে। কারণ মিটার রেটিং অনুযায়ী যেই ভাবে আসে বিদ্যুতের বিল ঠিক সেই ভাবে আসতে চলেছে জলের বিল।

হুগলির বিভিন্ন পৌর এলাকায় বলেছে জলের কলে মিটার। সেই মোতাবেক হুগলির কোন্নগর পৌরসভায় বসছে প্রায় ৬০০০ জলের কলের মিটার। তার জন্য দেওয়া হয়েছে নতুন পাইপ লাইন। তবে নতুন মিটার সমেত কল বসানোর জন্য সরকারের তরফ থেকে কোনরকম টাকা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু মিটার বসা মানে আগামীতে যে জলের জন্য টাকা দিতে হবে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় এলাকার মানুষজন।

 

এই বিষয়ে এলাকার এক গৃহিণী মিঠু রায় তিনি বলেন, প্রতিদিন নিত্যদিনের কাজের জন্য তাদের জলের প্রয়োজন। সেখানে যে জল খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় সেই জল দিয়ে অন্যান্য কাজ করতে হয়। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে বিদ্যুতের বিল ও অন্যান্য বিল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় সেখানে পানীয় জলের জন্য যদি এবার কর দিতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে !

এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা সমীর হাজরা তিনি বলেন, দিদির উপর আস্থা আছে তাদের, সরকারে আসার পর দিদির সরকার সমস্ত জলকর মুকুব করেছিলেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন জলের জন্য কোন সাধারণ মানুষকে আর কর দিতে হবে না। সেখানে যদি আবারও জলকর চালু হয় তাহলে তিনি আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াবেন।

এই বিষয়ে কোন্নগর পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস তিনি বলেন, অমৃত দুই প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ৬০০০ কলের মিটার বসানোর নির্দেশ এসেছে। সেই মোতাবেক তারা মিটার বসাচ্ছেন। তার ধারণা যখন মিটার বসানো হচ্ছে তখন তার পিছনে নিশ্চয়ই কোন অভিসন্ধি রয়েছে। অমৃত তিন প্রকল্প চালু হতে না হতেই মিটার থেকে টাকা নেওয়ার ব্যবস্থাপনাও চালু হবে। তবে ২০১১ সালের পর থেকে এই জলকর মুকুব করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের নির্দেশে আবারো একই পথে হাঁটতে চলেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যদি তাদেরকে একবার নির্দেশ দেন তাহলে তারা এই মিটার লাগানো জলের বিপক্ষে দাঁড়াতে শুরু করবেন।