অবতক খবর,৩১ মার্চ, মালদা:- ভাঙ্গন রোধের কাজে দালাল চক্রের অভিযোগ তুলে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলো মাঝিরা। কাটমানি দিতে না পারায় স্থানীয় মাঝিদের সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের মাঝিদের নিয়ে করা হচ্ছে কাজ বলে অভিযোগ মাঝিদের।এমন পরিস্থিতিতে মানিকচক থানার পুলিশের দ্বারস্থ হল মাঝিরা।মালদার মানিকচক ব্লকের নারায়ণপুর এলাকায় গঙ্গা নদীর পাড়ে ভাঙ্গন রোধের কাজ চলছে। রাজ্য সরকারের বরাদ্দ অর্থ প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ভাঙ্গন রোধের কাজ চলছে।

প্রায় ৪৬০ মিটার নদীপাড়ে বালির বস্তা দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই কাজে মানিকচকের ৩০ জন মাঝি নিজেদের নৌকা নিয়ে চুক্তিভিত্তিতে কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। চুক্তি হয়েছিল প্রতিদিন ১৮০০ বস্তা মাটি মেলার বদলে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই চুক্তিতে ১৫ দিন কাজও করেছেন মাঝিরা।তবে মাঝিদের অভিযোগ, দোল উৎসবের জন্য গত কয়েকদিন ধরে কাজ বন্ধ ছিল। তবে রবিবার সকাল থেকে কাজ শুরু হলেও এই সমস্ত মাঝিদের কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের মাঝিদের নিয়ে ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। তবে মানিকচক এলাকার মাঝিদের আর কাজ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। মাঝিদের অভিযোগ, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান সহ সেচ দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু ব্যক্তি এই কাজের বদলে কাটমানি চেয়েছিল।

সেটা দিতে না পারায় চুক্তি ভঙ্গ করে কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাঝিদের। ঝাড়খণ্ডের মাঝিদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় সমস্ত মাঝিরা মানিকচক থানার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা করুক সে দাবি তুলেছেন মাঝিরা।এই প্রসঙ্গে মানিকচক ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, এই ধরনের অভিযোগ প্রসঙ্গে আমার কিছু জানা নাই।এই ধরণের অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। যদিও তিনি জানিয়েছেন তার বাড়ি হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত নদী তীরবর্তী এলাকায়। তাই স্থানীয় বাসিন্দা হিসাবে এই কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় তার জন্য তিনি তদারকি করেছেন। কিন্তু এই ধরনের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি।